সন্তানদের হাসি রক্ষার জন্যই বাবারা সারাজীবন নিজের স্বপ্ন, আরাম আর ইচ্ছা সব চাপা দিয়ে বাঁচেন। ইকসান রনির সংবেদনশীল নির্মাণে ‘বাবাও মানুষ’ নাটকটি যেন সেই বাস্তব জীবনের গল্পের প্রতিচ্ছবি, যেখানে বয়স ও দুর্ভাগ্যের কাছে হেরে যাওয়া বাবা একসময় পরিবারের ‘বোঝা’ হয়ে যান। কারণ সন্তানরা তখন আর বাবার ক্লান্ত কাঁধ বা নীরব ত্যাগ দেখতেও চায় না।
ফজলুর রহমান বাবু নাটকে এমন গভীর ও হৃদয় ছুঁয়ে দেওয়া অভিনয় করেছেন, যা প্রতিটি দৃশ্যে বাস্তব জীবনের কোনো বাবার ছবি ফুটিয়ে তোলে। তানিয়া বৃষ্টি ও জুনায়েদ বোগদাদির অভিনয়ও গল্পের বাস্তবতাকে শক্ত ভিত্তি দিয়েছে। নাটকটিতে ফুটে উঠেছে, বাবারা কখনো অভিযোগ করেন না, তাই তাদের কষ্ট অদৃশ্যই থেকে যায়।
নাটকটি নিয়ে নির্মাতা ইকসান রনি বলেন, ‘এটি শুধু গল্প নয়, বাস্তবতা। এটা আমার খুব কাছের, ভালোবাসার গল্প। যাকে ভেবে গল্পটা লিখেছি, তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি নাটকটিতে। সে বেঁচে নেই, কিন্তু আমার হৃদয়ে এবং ভালোবাসায় আজও বেঁচে আছে।’ দর্শকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই নির্মাতা।
প্রযোজক কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দর্শকদের ভালো লাগার প্রতিক্রিয়া পেয়ে আমরা খুব খুশি। আমাদের লক্ষ্য ভালো গল্প মানুষ পর্যন্ত পৌঁছানো। নাটকটি তা প্রমাণ করছে।’
নাটকে আরও অভিনয় করেছেন শিরিন আলম, শেখ স্বপ্না ফাইজুল কবির রথি, নাহার নওরিন, রকি খান, আর সি অরণ্য, কাকন চৌধূরী, আবু রায়হান প্রমুখ। নাটকটি তিন দিনে ১০ লক্ষেরও বেশি দর্শক দেখেছেন। ‘বাবাও মানুষ; এখন KSI Entertainment ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে।

নাটকটি মূলত বাবাদের শত কষ্ট, পরিশ্রম ও ত্যাগের গল্প। পৃথিবীর সব অপমান সহ্য করেও তারা পরিবারকে সুখী রাখতে লড়াই করেন। আমরা কি কখনো তাদের ন্যায্য প্রাপ্য সম্মান দিতে পারি? বৃদ্ধাবস্থায় তাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আশ্রয় দেওয়া কি আমরা ভুলে যাই না? ‘বাবাও মানুষ’ নাটকটি এসব প্রশ্নের মধ্য দিয়ে দর্শকের আবেগকে স্পর্শ করে, চোখে জল আনে এবং বাবাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জাগায়।
নির্মাণের মান, পরিচ্ছন্ন কালার গ্রেডিং, ক্যামেরার কাজ ও মিউজিক নাটকটিকে আরও প্রাণবন্ত করেছে। বাস্তবতা ও আবেগের সংমিশ্রণে নাটকটি দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে।
এমএইচএস

