Logo

বিনোদন

প্রযোজকের বিরুদ্ধে ‘কুপ্রস্তাব’ দেওয়ার অভিযোগ করলেন পায়েল সরকার

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৪

প্রযোজকের বিরুদ্ধে ‘কুপ্রস্তাব’ দেওয়ার অভিযোগ করলেন পায়েল সরকার

গ্ল্যামার দুনিয়ার বহু আলো–আঁধারির মধ্যে সবচেয়ে অন্ধকার দিকগুলোর একটি কাস্টিং কাউচ। বলিউড থেকে টলিউড—চলচ্চিত্র শিল্পের এই অনৈতিক আচরণ থেকে রেহাই পান না উঠতি শিল্পীরাও, এমনকি প্রতিষ্ঠিত তারকারাও এর শিকার হন।

সাম্প্রতিক সময়ে টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার সামনে এনেছেন নিজের জীবনের এক চরম অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা। একসময় কমার্শিয়াল সিনেমার জনপ্রিয় মুখ ছিলেন তিনি। দেবের সঙ্গে তার ‘আই লাভ ইউ’, ‘লে ছক্কা’, ‘প্রেম আমার’-এর মতো ছবিগুলো ছিল ব্লকবাস্টার।

সম্প্রতি এক পডকাস্ট শো ‘স্ট্রেট আপ উইথ শ্রী’–এর প্রমোতে দেখা যায়, পায়েল অকপটে জানান— একজন প্রযোজক তার কাছে “নির্দিষ্ট সুবিধা” দাবি করেছিলেন। সঞ্চালিকা সরাসরি জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, যৌন সুবিধাই চাওয়া হয়েছিল।”

পায়েল জানান, প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই প্রযোজক সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে নানাভাবে কুৎসা রটিয়েছিলেন। তার ছবি বিকৃত করে পোস্ট করা, কটূক্তি লেখা— এসব আচরণে প্রযোজকের “সাইকোটিক” আচরণ স্পষ্ট ছিল বলে দাবি করেন তিনি।

শিল্পীর ভাষায়, “তারপরও আমি কাজ করেছি। এক বছরের ব্যবধানে ‘প্রেম আমার’ আর ‘লে ছক্কা’— দুটো ছবির শুটিং করেছিলাম। আমার ক্যারিয়ার এগিয়েছে আমার নিজের পরিশ্রমে।”

পায়েল আক্ষেপ করে বলেন, “আমাদের সমাজে এখনো মেয়েদের ‘না’ বলাকে সম্মান করা হয় না। একজন নারী নিজের সীমারেখা টেনে দিলে, পুরুষদের অনেকেই সেটা সম্মানের সঙ্গে নিতে জানে না— সে ইন্ডাস্ট্রির হোক, বা বাইরের।”

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, একসময় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী–র সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক চর্চা হয়েছিল। দীর্ঘদিন আগেই সে অধ্যায়ের ইতি ঘটেছে। বর্তমানে ৪০–এর গণ্ডি পেরিয়ে পায়েল সিঙ্গল; অন্যদিকে রাজ এখন শুভশ্রীর সঙ্গে সংসারী।

এদিকে সর্বশেষ পায়েলকে দেখা গেছে ‘নজরবন্দী’ এবং বিতর্কিত ‘দ্য অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে।

অভিনেত্রীর এই খোলামেলা বক্তব্য ফের আলোচনায় তুলেছে টলিউডের কাস্টিং কাউচের অন্ধকার দিকগুলো।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বিনোদন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর