ভারতীয় প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, ব্যাখ্যা দিলেন তিশা
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:০১
ওপার বাংলার চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার মরশুম’এ অভিনয়ের জন্য আগেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ঢালিউড তারকা তানজিন তিশা। অভিনয়ের সম্মতি দেওয়ার পাশাপাশি তিনি নিয়েছিলেন অগ্রিম পারিশ্রমিকও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এর পর থেকেই ছবির প্রযোজক শরীফ খান দাবি করতে থাকেন— তিশা নাকি চুক্তির অর্থ ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েক দিন ধরে এই অভিযোগ নিয়ে হৈচৈ চলছে। এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমে প্রযোজককে ফালতু মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দেন তিনি। অবশেষে বিষয়টি স্পষ্ট করতে ফেসবুকে এক বিবৃতি দেন তিনি। তার বক্তব্য— প্রচারিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিশা জানান, ভারতীয় পরিচালক এম. এন. রাজের সঙ্গে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করেন। চুক্তিপত্র অনুযায়ী, শিল্পীর বিদেশযাত্রা সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্ব— ভিসা, টিকিট, থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা পরিচালক ও প্রযোজকের ওপরই বর্তায়।
কিন্তু বাস্তবে পরিচালক ভিসার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হন। তিশা নিজ উদ্যোগেও চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ভিসা সম্ভব হয়নি। তার স্পষ্ট মন্তব্য, ‘ভিসা করানো সম্পূর্ণ ডিরেক্টরের দায়িত্ব। সেখানে ব্যর্থতার দায় আমার নয়— আইনও তা বলে না।’
তিশা জানান, ভিসার জন্য তিনি দুই মাস অপেক্ষা করেন। এর মাঝেই নির্মাতারা তার চরিত্রে নতুন একজন শিল্পীকে যুক্ত করে শুটিং শুরু করে দেন। ফলে শিডিউল নষ্ট হওয়ায় তিনি দেশে ফিরে অন্য একটি ছবিতে সই করেন।
তিশা বলেন, ‘আমি কোনোদিনই একটি সিনেমার সম্মান নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু যখন পরিচালক তার প্রস্তুতিতেই ব্যর্থ হন এবং অন্য কাউকে নিয়ে কাজ শুরু করেন— তখন আর আমার হাতে কিছু থাকে না।’
তিনি আরও জানান, শরীফ খান সত্যিকারের প্রযোজক নন— তিনি শুধু লাইন প্রোডিউসার। অথচ তিনিই বিভিন্ন মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে তার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন।
শরীফ দাবি করেন, অগ্রিম টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু তিশা বলেন, ‘আমার চুক্তিতে এমন কোনো শর্ত নেই যে ডিরেক্টরের ভুলে শুটিং না হলে আমাকে টাকা ফেরত দিতে হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন— আইন যদি শেষ পর্যন্ত ভিন্ন নির্দেশ দেয়, তবে তিনি সেটি মেনে নেবেন।
সাংবাদিকদের অনুরোধ করে তিশা বলেন, ‘সত্য যাচাই করে খবর প্রকাশ করুন। কেউ ভুল তথ্য ছড়িয়ে যেভাবে আমার ক্যারিয়ার নষ্ট করার চেষ্টা করছে, তা দুঃখজনক।’
এদিকে তিশার আইনজীবী জসীম উদ্দিন জানান, ‘শিল্পী চুক্তি অনুযায়ী সব দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিডিউল দিয়েছেন, শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। পরিচালকই ভিসা ও প্রস্তুতিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে ‘ডিরেক্টরের ডিফল্ট’ স্পষ্ট। তিশার কোনো ভুল ছিল না; বরং তিনিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
এসএসকে/

