ঢাকায় মণিপুরি থিয়েটারের মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী বিশেষ ধরণের ঘর তৈরির কারিগর ধ্বজো মেস্তরীর জীবনের করুণ গল্প নিয়ে মণিপুরি থিয়েটারের নাটক ‘ধ্বজো মেস্তরীর মরণ’। আজ থেকে প্রায় বিশ বছর আগে ২০০৫ সালে মঞ্চে এসেছিল নাটকটি। বেশ কয়েকটি শোয়ের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এবার নানান পরিমার্জন-সংযোজনের মধ্য দিয়ে নতুন অবয়বে নাটকটি আবার মঞ্চে আনছে দলটি। কাজ করছেন পুরনোদের সাথে একঝাঁক নতুন অভিনয়শিল্পী।
আগামী ২৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় নবপর্যায়ের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে।
তার পরের দিন সন্ধ্যা ৭টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে আরফি সাংস্কৃতিক উৎসবে নাটকটির আরেকটি মঞ্চায়ন হবে।
স্মৃতিকুমার সিংহের গল্প অবলম্বনে নাটকটির নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। বাংলা ও বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষার সংমিশ্রিত এ নাটকে কথক বা সূত্রধরের ভূমিকায় আছেন জ্যোতি সিনহা। তরুণ ও বৃদ্ধ ধ্বজোর ভূমিকায় যথাক্রমে সমরজিৎ সিংহ ও বিধান সিংহ। আরো আছেন স্বর্ণালী সিনহা, শিউলী সিনহা, সুবর্ণা সিনহা, রাজকান্ত সিংহ, দীপ্তাংশু সিংহ, রুহিত সিংহ, সীমান্ত সিংহ, অনন্যা সিনহা, স্বর্ণালী শর্মা প্রমুখ।
সংগীতে শর্মিলা সিনহা, বাদ্যে রনি সিংহ ও অঞ্জনা সিনহা। আলোক পরিকল্পনায় আসলাম অরণ্য। পোস্টার ও প্রকাশনায় সজলকান্তি সিংহ। প্রযোজনা ব্যবস্থাপনায় আপন সিংহ ও দেবজিৎ সিংহ।
মণিপুরি পাড়ার নামকরা মিস্ত্রি ধ্বজোর হাতের গড়া ঘরগুলো যখন কালের আবর্তে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তখন তার হাতের মিস্ত্রিবিদ্যার একমাত্র চিহ্ন হয়ে ছিল তার নিজের বাড়িটি, আধুনিকতার হাতছানিতে তার ছেলেরাই একদিন নতুন দালান তৈরির জন্য তাও ভেঙে ফেলে। ধ্বজোর সকল কর্ম, ঘরটিকে নিয়ে তার সকল স্মৃতি লুপ্ত হয়ে গেল। এর মধ্য দিয়ে যেন প্রান্তিক ইতিহাসের গৃহনির্মাণবিদ্যার এক অধ্যায়েরও সমাপ্তি হয়ে গেল। পাড়ার লোকজন যখন কৃত্যমতে পুরনো সে বাড়ির ভগ্নাবশেষ নিয়ে দূরে ফেলে দিতে যায়, ধ্বজো দ্যাখে- যেন ওরা তারই লাশ বহন করে চলেছে।
এসএসকে/

