মেসির সঙ্গে শুভশ্রীর ছবি নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, থানায় রাজ
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৯
মেসির সঙ্গে শুভশ্রীর ছবি নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে থানায় রাজ
কলকাতায় লিওনেল মেসির সঙ্গে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চরম কটূক্তি ও কুরুচিকর আক্রমণের শিকার হয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি। বিষয়টি নিয়ে এবার আইনি পথে হাঁটলেন তার স্বামী, নির্মাতা ও বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। অভিনেত্রীর সম্মানহানির অভিযোগে টিটাগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়াল’-কে রাজ চক্রবর্তী জানান, একজন নারীর প্রতি এমন অশালীন আচরণ আর উপেক্ষা করা সম্ভব ছিল না। তার ভাষায়, ‘যেভাবে শুভশ্রীকে অপদস্থ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর পেছনে রাজনৈতিক উসকানি থাকতে পারে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত বলতে চাই না।’
এই আইনি পদক্ষেপকে অনেকেই দেখছেন ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনার পর তৈরি হওয়া দীর্ঘ সামাজিক উত্তেজনার স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবে। ওই দিন কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির উপস্থিতি ঘিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। মাসের পর মাস অপেক্ষা করে টিকিট কেটে এসেও বহু দর্শক মেসিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি। মাঠে ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাজনিত জটিলতার মধ্যেই মাঠ ছাড়েন বিশ্ব ফুটবলের তারকারা।
এই ঘটনার পর ক্ষোভের মুখ ঘুরে যায় শুভশ্রীর দিকে। তিনি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং মেসির সঙ্গে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার পরই শুরু হয় বিদ্রুপ, কটাক্ষ ও কুরুচিকর মিমের বন্যা। অনেকের প্রশ্ন— যেখানে সাধারণ দর্শক মেসিকে দেখতে পাননি, সেখানে একজন অভিনেত্রী কীভাবে ছবি তুললেন?
এই প্রশ্নের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন রাজ চক্রবর্তী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি বলেন, শুভশ্রী সেখানে কোনো বিশেষ সুবিধা নিয়ে যাননি; তিনি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রশিল্পের প্রতিনিধি হিসেবে আমন্ত্রিত একজন অতিথি। অভিনেত্রী বলেই কি তার মেসির ভক্ত হওয়ার অধিকার নেই— সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
রাজ আরও লেখেন, যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা লজ্জাজনক এবং বাঙালি ফুটবলপ্রেমীদের আবেগের সঙ্গে প্রতারণা। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো বড় ম্যাচ আয়োজনের অভিজ্ঞতা থাকার পরও এমন গাফিলতি কীভাবে হলো— তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
শুভশ্রী প্রসঙ্গে রাজ বলেন, একজন মানুষ একাধিক পরিচয়ে বাঁচে— তিনি মা, স্ত্রী, অভিনেত্রী কিংবা একজন সাধারণ ভক্তও হতে পারেন। পেশার কারণে কাউকে অপমান বা ট্রোল করার অধিকার কারও নেই।
রাজের মতে, এই ধরনের ট্রোলিং শুধু বর্তমানকে আঘাত করে না, ভবিষ্যতের জন্যও ভয়ংকর দৃষ্টান্ত তৈরি করে। প্রতিবাদ আর অপমানের পার্থক্য বোঝা এখন সময়ের দাবি।
এসএসকে/

