গোল্ডেন সিল্ক রোড অ্যাওয়ার্ড পেলেন ওয়ালিউল বিশ্বাস
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:১১
চীন–বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব ফুটিয়ে তোলার স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পেলেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৯ জন সাংবাদিক। এর মধ্যে মিডিয়া ইনোভেশন বিভাগে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন বিনোদন সাংবাদিক ওয়ালিউল বিশ্বাস। তিনি ইনডিপেনডেন্ট টিভির ডিজিটাল বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রতিটি বিভাগে প্রথম স্থান অর্জনকারীকে নগদ এক লক্ষ টাকা ও সনদ, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দুজনকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও সনদ এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজনের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা ও সনদ দেওয়া হয়। মোট পাঁচটি শ্রেণিতে দেওয়া হয় পুরস্কার।
ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটাল প্রকাশিত ‘যে আলোয় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের অ্যাক্রোবেটিক’ শিরোনামের প্রতিবেদনের জন্য ওয়ালিউল বিশ্বাস এ পুরস্কার পান। তিনি জানান, একসময় বিলীন হতে যাওয়া সার্কাস বা অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এতে রয়েছে বেশ কিছু ইনফোগ্রাফিকস প্রেজেন্টেশন।
এদিকে, অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং, চায়না মিডিয়া গ্রুপ–সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী, চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হান খুন, ওপেন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টারের প্রেসিডেন্ট চুয়াং লিফং। এছাড়া প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছর চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি এবং এটি চীন–বাংলাদেশ জনগণে–জনগণে বিনিময় বর্ষ বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক সিল্ক রোড ছিল পূর্ব ও পশ্চিমের পারস্পরিক শেখা ও আদান–প্রদানের এক মহান দৃষ্টান্ত, যা মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। আজ ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড’ এত উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আপনাদের মতো পরিশ্রমী গণমাধ্যমকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই। আমি বিশ্বাস করি, এটি ভবিষ্যতেও হৃদয়কে হৃদয়ের সঙ্গে যুক্ত করবে এবং সভ্যতার মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলবে।’’
পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জমা পড়া মনোনয়ন থেকে বছরের সেরা ২৯টি প্রতিবেদনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়। ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত প্রতিবেদনগুলোকে মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হয়।
অর্থনীতি ও প্রযুক্তি বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ডেইলি সানের মো. মুনির হোসেন, দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের গোলাম মওলা এবং রূপালী বাংলাদেশের আব্দুর রহিম। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ডেইলি সানের রফিকুল ইসলাম, ঢাকা পোস্টের আব্দুর রহমান এবং ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের আসজাদুল কিবরিয়া।
মিডিয়া ইনোভেশন বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আরটিভির মো. ইমরুল হাসান। যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়ালিউল আলম বিশ্বাস, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রাশেদুর রহমান এবং একই প্রতিবেদনের জন্য যৌথভাবে বাংলা ট্রিবিউনের আরশাদ আলী ও সুদীপ্ত নুরুল কবীর।
খেলাধুলা ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক ভোরের কাগজের এস এম নাজমুল হক ইমন। দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের তানজিম আহমেদ ও সকাল সন্ধ্যার রাহেনুর ইসলাম। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের জোবায়ের হোসেন, স্টার নিউজের ফাসিউর রহমান সিফাত এবং দৈনিক ইনকিলাবের কামরুল হাসান খান।
ভিজ্যুয়ালস শ্রেণিতে প্রথম হয়েছেন বিডিনিউজের মাহমুদ জামান অভি। দ্বিতীয় হয়েছেন সারাবাংলার হাবিবুর রহমান। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আজকের পত্রিকার জাহিদুল ইসলাম সজল, নাগরিক প্রতিদিনের ওলিদ ইবনে শাহ এবং বিডিনিউজের মাসুম বিল্লাহ।
জেনারেল নিউজ ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন রূপালী বাংলাদেশের সেলিম আহমেদ। দ্বিতীয় হয়েছেন ডেইলি সানের মৌসুমি ইসলাম এবং কালের কণ্ঠের মোহাম্মদ শরীফুল আলম। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন জাগো নিউজের মফিজুল সাদিক, বিডিনিউজের জেসমিন মলি এবং যমুনা টিভির সালাউদ্দিন আহমেদ।

