Logo

প্রবাস

দেশে ফিরছেন না বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অঞ্জন, থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রেই

Icon

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১২

দেশে ফিরছেন না বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অঞ্জন, থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রেই

যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার বৈধতা হারিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অঞ্জন রায়। যেকোনো সময় গ্রেপ্তার কিংবা দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি ছিল তার সামনে। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বৈধতা ফিরে পেয়েছেন।

অঞ্জন রায় ২০২৪ সালের আগস্টে মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শুরু করেন। গত ডিসেম্বরে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে মাস্টার্সে ভর্তি হন। তার মাস্টার্স শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের মে মাসে।

তবে গত ১০ এপ্রিল এক ই-মেইলের মাধ্যমে জানতে পারেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে তার বৈধতা বাতিল করা হয়েছে। বলা হয়, যেকোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার বা ফেরত পাঠানো হতে পারে।

অঞ্জন বলেন, আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই। ভাবতে থাকি, এটা কীভাবে সম্ভব? এরপর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী দপ্তরে যাই, কিন্তু তারাও কারণ জানাতে পারেনি।

এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও একটি সতর্ক ই-মেইল পান তিনি। সেখানে জানানো হয়, তার ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাকে বাংলাদেশে না পাঠিয়ে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো হতে পারে।

সঙ্কটময় সময়ে আইনজীবীর পরামর্শ নেন অঞ্জন। নিরাপত্তার জন্য আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেন, বন্ধ রাখেন ক্লাসে যাওয়া ও ইন্টারনেট ব্যবহার। শিক্ষকরা তার পরিস্থিতি বুঝে সহানুভূতি দেখান।

অবশেষে আদালতের রায়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বৈধতা ফিরে পান তিনি। ফিরেছেন নিজ অ্যাপার্টমেন্টেও, তবে এখনো অনিশ্চয়তার শঙ্কা কাটেনি। রুমমেটদের অনুরোধ করেছেন, কেউ খোঁজ নিতে এলে সতর্ক থাকতে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় অঞ্জনসহ ১৩৩ জন শিক্ষার্থী বাদী হয়েছেন। আদালত তাদের পক্ষে রায় দিয়ে দেশত্যাগের আদেশে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি জানান, দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনপন্থি ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও এর আওতায় পড়ছেন।

তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ছাড়া কিছুই করেননি। অনেকেই জানেন না ঠিক কী কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী চার্লস কাক বলেন, শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের কোনো এখতিয়ার সরকারের নেই। এটা একটি ভয়ভীতি প্রদর্শনের কৌশল।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর