
বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে কানাডার টরন্টোতে অনুষ্ঠিত হলো ‘বৈশাখের পঙক্তিমালা’। স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অন্যস্বর’-এর আয়োজনে ড্যানফোর্থ এলাকার হোপ ইউনাইটেড চার্চ মিলনায়তনে জমজমাট এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গত বছরের মতো এবারও দ্বিতীয়বারের মতো বৈশাখী এই আয়োজনে মিলনায়তন ভরে ওঠে দর্শক-শ্রোতাদের উচ্ছ্বাসে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নির্ধারিত সময়ের আগেই দর্শকেরা হলমুখী হতে থাকেন। রাত ঠিক আটটায় পর্দা উঠে শিশু মন্ত্র ও মুগ্ধর মঞ্চে ওঠার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন রনি মজুমদার।
এরপর একে একে মঞ্চ মাতিয়ে রাখেন টরন্টো প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীরা। ইলোরা সাঈদ ও আব্দুল বাসিত বৈশাখের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। এরপরই আসিফ চৌধুরীর কণ্ঠে গান ‘এসো’ দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
আবৃত্তি করেন রওশন জাহান উর্মী। রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন রিক্তা মজুমদার। আর আবৃত্তি ও গানের ধারাবাহিকতায় বাউল গানের মধ্য দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন শিরিন চৌধুরী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা, ছড়া, গান—সবই ছিল অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দুতে।
প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশুদের ছড়া, পুথি পাঠ এবং অভিনয়ভিত্তিক পরিবেশনা ছিল উল্লেখযোগ্য। মেহজাবিনের কণ্ঠে শোনা যায় “কল কল ছল ছল নদী করে টলমল”। আর মাসুদ পারভেজের “বকুল ফুল” গান দর্শকদের হৃদয়ে ছুঁয়ে যায়।
দিলারা নাহার বাবুর আবৃত্তি ও রূপকের ভিন্নধর্মী পরিবেশনায় দর্শক-শ্রোতা আবেগে আপ্লুত হন। একপর্যায়ে সকল শিল্পীরা মঞ্চে এসে পরিবেশন করেন “তোরা সব জয়ধ্বনি কর” ও “নয়া বাইদা”-সহ নানা গান।
পরিশেষে মানবী মৃধা বাঙালি ছন্দের কবিতা দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন—যার সূচনা করেছিল তারই পুত্রদ্বয়।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে আয়োজক অন্যস্বরের কর্ণধার ও নির্দেশক আহমেদ হোসেনের বক্তব্য এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।
এই আয়োজনে অংশ নেন—ইলোরা সাঈদ, রিক্তা মজুমদার, জনি ফ্রান্সিস গোমেজ, ফারিহা রহমান, ফারজানা হক, মুনিমা শারমিন, জান্নাতুল ফেরদৌস, কাজী বাসিত, মেহজাবিন চৌধুরী, শিরিন চৌধুরী, আসিফ চৌধুরী, রওশন জাহান উর্মী, ভুইঁয়া সাদমান সাকিব, নার্গিস রূপক, দিলারা নাহার বাবু, হাসি রহমান, ফারিয়া সেহেলী, আনিসা লাকি, মানবী মৃধা এবং মাসুদ পারভেজ।
অনুষ্ঠানে কীবোর্ডে ছিলেন রূপতনু শর্মা, সাউন্ড সিস্টেমে মামুনুর রশীদ এবং মঞ্চসজ্জায় সহায়তা করেন বদরুদোজা সিদ্দিকী। পুরো আয়োজনের নির্দেশনায় ছিলেন আহমেদ হোসেন।
এলএন/এমজে