Logo

প্রবাস

করিডোর ও যুদ্ধপ্রস্তুতি নিয়ে প্রবাসী বিশ্লেষকরদের গভীর উদ্বেগ

Icon

কানাডা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ২১:০২

করিডোর ও যুদ্ধপ্রস্তুতি নিয়ে প্রবাসী বিশ্লেষকরদের গভীর উদ্বেগ

প্রবাসী গবেষক, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী ও সমাজকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘গ্লোবাল সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভারন্যান্স’

সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইন করিডোর ইস্যু ও যুদ্ধপ্রস্তুতির ঘোষণা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রবাসী গবেষক, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী ও সমাজকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক থিঙ্কট্যাঙ্ক। 'গ্লোবাল সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভারন্যান্স' নামের এই প্রতিষ্ঠানটি শনিবার (১০ মে) এক বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচিত নয় এমন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় সীমার বাইরে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে করিডোর প্রদানের সিদ্ধান্ত এবং যুদ্ধ প্রস্তুতির আহ্বান কোনোভাবেই একটি অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এখতিয়ারভুক্ত নয়। এই ধরনের সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংসদে আলোচনা করে গ্রহণ করা যেতে পারে।’

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার যদি করিডোরের নামে রাখাইনের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতা করে মায়ানমারের সার্বভৌমত্বকে উপেক্ষা করে কোনো ব্যবস্থা নেয়, তাহলে বাংলাদেশ সরাসরি এক বিপজ্জনক যুদ্ধ জটিলতায় জড়িয়ে পড়তে পারে।’

বিবৃতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, ‘রাখাইন অঞ্চল নিয়ে চীন, ভারত ও রাশিয়ার কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে। করিডোরের সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র ওই এলাকায় প্রবেশ করলে তা আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াবে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে, যা গাজার মতো ভয়াবহ পরিণতির দিকে দেশকে ঠেলে দেবে।’

থিঙ্কট্যাঙ্কটির সদস্যরা অভিযোগ করেন, ‘এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও অর্থনীতিকে জিম্মি করে ফেলছে। দুর্ভিক্ষ, অস্ত্র চোরাচালান, জঙ্গিবাদ ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।’

প্রবাসী বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, ‘এই ধরনের করিডোর বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে এক পরাশক্তির যুদ্ধের খেলায় পরিণত করবে। অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর দেশটি এর ফলে অস্ত্র কেনার নামে হাজার কোটি ডলারের ঋণ চুক্তিতে ঢুকবে এবং জাতীয় সম্পদ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যে বলা হয়েছে সীমান্ত সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই, মানচিত্র পরিবর্তন হতে যাচ্ছে—এসব বক্তব্য অত্যন্ত ভয়ানক ইঙ্গিত বহন করে। আমরা এমন অনিশ্চয়তা ও বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, যা দেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।’

বিবৃতিতে সেনাবাহিনীসহ দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘দেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়ার আগেই দেশবাসীকে সোচ্চার হতে হবে। কোটি কণ্ঠে প্রতিবাদ তুলতে হবে। নয়তো এই অনিয়ন্ত্রিত সিদ্ধান্তের ফলে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় অস্তিত্বই হারিয়ে যেতে পারে।’

এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর