যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কোরবানির মাংস পেতে ভোগান্তি

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১২:৫৫
-684290cd653e6.jpg)
ঈদুল আজহার উৎসবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কোরবানির মাংস পেতে পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়। দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে হাজার হাজার প্রবাসী মুসলমান প্রতি বছর আগেভাগেই খামারে গরু-ছাগল কোরবানির অর্ডার দিলেও ঈদের দিনে হাতে পান না কাঙ্ক্ষিত মাংস। কসাই ও ছেদক সংকটের কারণে অনেককেই ২ থেকে ৩ দিন পর গরু জবাইয়ের নম্বর পেয়ে মাংস হাতে পেতে হয়। ফলে ঈদের দিনটা অনেকেরই কাটে খুচরা দোকানের কেনা মাংস দিয়ে।
নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, ভার্জিনিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া ও কানেকটিকাটসহ অন্তত ২০টি অঙ্গরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা একমাস আগে থেকেই খামারে গিয়ে যৌথভাবে গরু এবং এককভাবে ছাগল কোরবানির অর্ডার দিয়ে থাকেন। ঈদের নামাজ শেষে খামারে পৌঁছালেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিরিয়াল না মেলায় অনেকেই খালি হাতে ফিরে যান। একাধিক খামারে ঘুরেও কাঙ্ক্ষিত পশু জবাই না হওয়ায় তীব্র হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এছাড়া, অনেক খামারে কোরবানির পর মাংসের ওজন নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, এক-তৃতীয়াংশ বর্জ্যের নামে অনেক খামারে দেড় বা দুই-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত অংশ ফেলে দেওয়া হচ্ছে, যা আসলে মাংস চুরির কৌশল বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞরা। অভিজ্ঞ গ্রোসারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, একটি গরু থেকে এক-তৃতীয়াংশ বর্জ্য স্বাভাবিক হলেও অধিকাংশ খামারে অস্বাভাবিক পরিমাণ মাংস বর্জ্যের নামে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
নিউ ইয়র্কের প্রবাসী তোফায়েল আহমেদ জানান, তিনি ১৫৬০ পাউন্ড ওজনের গরু কোরবানি দিয়ে মাংস পেয়েছেন মাত্র ৫৬০ পাউন্ড। ‘১ হাজার পাউন্ড বর্জ্য ফেলানো অসম্ভব’— মন্তব্য তার। অনেক খামারে প্রতিবাদ করলে গরু কাটায় বিলম্ব বা জবাই না করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
কানেকটিকাটের আরেক প্রবাসী আব্দুর রহমান জানান, ‘ফার্মে যেতে দেরি হলে মনমালিন্য হয়, ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা হয়, আবার মাংস কাটার পর চর্বির নামে মাংসও কমে যায়। তাই ঈদের আগেই গ্রোসারিতে মাংস কিনে রাখি।’
কেই/এমএইচএস
প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন
সম্পর্কিত
পঠিত
মন্তব্য করুন