Logo

প্রবাস

কানাডায় প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন

Icon

লায়লা নুসরাত, কানাডা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ১০:৩৮

কানাডায় প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ঈদ এলেই সবারই স্বপ্ন বাড়ি যাবে, ব্যতিক্রম শুধু প্রবাসীদের। ইচ্ছে থাকলেও বাস আর ট্রেনের টিকিট কেটে দেশের বাড়িতে যাওয়া যায় না। দেখা হয় না মমতাময়ী মা বাবা পরিবার আর স্বজনদের সাথে। 

কানাডায় নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেয়া বাধ্যতামূলক। কেউ কেউ ছুটে যান শহরের অদূরের ফার্মগুলোতে। কারো কারো অর্ডার থাকে গ্রোসারি দোকানে, যেখানে কোরবানির মাংস পেতে তিন-চার দিন সময় লেগে যায়। আবার কারো কারো থাকে কর্মদিবস। তবুও খুব ভোরে নতুন পোশাক পরে আগেভাগে বের হয়ে পড়েন ঈদের নামাজ আদায় করতে। 

যান্ত্রিকতাময় প্রবাস জীবনে ঈদের দিনে প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হন একে অপরের সাথে, শ্রদ্ধা ভালবাসা আর সহমর্মিতা পরিণত হয় মিলনমেলায়। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সবাই একত্রিত হয়ে মেতে ওঠেন নানা গল্প আর আড্ডায়।

আড্ডায় ঈদ আনন্দের সাথে উঠে আসে দেশের সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। পাশাপাশি চলে ঈদ উপলক্ষে নানা সুস্বাদু খাবার। বিরিয়ানি, পোলাও, কোর্মা, মাংসের চপ, রোস্ট, জর্দা আর গৃহবধূদের নিজ হাতের তৈরি দইসহ নানামাত্রিক রান্না করা খাবারের আয়োজন।

এই মহামিলনের পাশাপাশি প্রবাস থেকে দেশের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গেও চলে টেলিফোনে আলাপচারিতা। এই আলাপে কারো কারো নয়ন ভেসে আসে জলে। অশ্রুসিক্ত নয়নে দেশে একসাথে ঈদ না করতে পারার আক্ষেপও।

প্রবাসে ঈদ উদযাপন নিয়ে সেলেস্টিয়া প্রোডাক্শনস এন্ড পিয়ারলেস কলেজের প্রেসিডেন্ট এন্ড সিইও ডা. গুলশান আক্তার বলেন, এখানে আনন্দ উৎসবে আমরা অংশগ্রহণ করি ঠিকই, কিন্তু দেশের মত আনন্দ নেই। যান্ত্রিকতাময় প্রবাস জীবনে দেশের আত্মীয় স্বজনকে খুব মিস্ করি।

 ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ আলম বলেন, ঈদের দিন সময় বের করে বাংলাদেশের আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। বিশেষ এই দিনে দেশের কথা, স্বজনদের কথা খুব মনে পড়ে। শৈশবের সেই আনন্দের ঈদের দিন, সময় আর কখনই ফিরে পাওয়ার নয়। সেই সময়ের ঈদে এখন কেবলই স্মৃতি।

এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ঈদুল আজহা ঈদুল আজহার সব খবর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর