ডাকযোগে ভোটদানে নিবন্ধনের আহ্বান কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনারের
কানাডা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩
ছবি : বাংলাদেশের খবর
কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদানের জন্য নিবন্ধনের আহ্বান জানিয়েছেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. জসীম উদ্দীন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের ৫৫তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশীদের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা তুলে ধরা হয়।
দিনের শুরুতে হাইকমিশনার মো. জসীম উদ্দীন অটোয়া বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলনের পর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে হাইকমিশনের অডিটোরিয়ামে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্য, কানাডায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীবৃন্দ ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের এবং জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। এরপর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়, যা মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে।
সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার মো. জসীম উদ্দীন বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীরা দীর্ঘদিন ধরে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, এখন সময় এসেছে প্রবাসীদের ভূমিকার ব্যপ্তি বাড়িয়ে পুনঃসঙ্গায়ন করার। দক্ষতা বিনিময়, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সুদূর প্রসারিত করার মাধ্যমে জাতি গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া হাইকমিশনার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা বাস্তবায়নে প্রবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। নাগরিক দায়িত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ডাকযোগে ভোটদানের জন্য নিবন্ধনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ হলো সেই মূল্যবোধের মৌলিক প্রকাশ যার জন্য দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।
লায়লা নুসরাত/এমএইচএস

