Logo

প্রবাস

নিউইয়র্কে ৮৩১ কোটি টাকা জালিয়াতি : ২ বাংলাদেশির দোষ স্বীকার

Icon

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১১

নিউইয়র্কে ৮৩১ কোটি টাকা জালিয়াতি : ২ বাংলাদেশির দোষ স্বীকার

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অ্যাডাল্ট ডে কেয়ার ও হোম হেলথ কেয়ারের নামে ৬৮ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৩১ কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় দুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ব্রুকলিনের ফেডারেল আদালতে জাকিয়া খান ও আহসান ইজাজ নামের এই দুই ব্যক্তি মেডিকেইড জালিয়াতির বিশাল ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার কথা কবুল করেন।

ফেডারেল কৌঁসুলিদের তথ্য অনুযায়ী, জাকিয়া খান ও আহসান ইজাজ ব্রুকলিনভিত্তিক ‘হ্যাপি ফ্যামিলি অ্যাডাল্ট ডে কেয়ার’ এবং ‘ফ্যামিলি সোশ্যাল অ্যাডাল্ট ডে কেয়ার’ নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তারা ‘রেসপন্সিবল কেয়ার স্টাফিং’ নামে একটি মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করতেন। অভিযোগ রয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ভুয়া সেবার বিপরীতে সরকারি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হতো। ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত এই জালিয়াতি চক্রটি সক্রিয় ছিল।

আদালতের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাকিয়া খান ও তার সহযোগীরা মেডিকেইডভুক্ত ব্যক্তিদের ঘুষ ও কিকব্যাকের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে নথিবদ্ধ করতেন। অনেক ক্ষেত্রে কোনো সেবা না দিয়েই সরকারের কাছে মোটা অঙ্কের বিল পাঠানো হতো। এই জালিয়াতির অর্থ আড়াল করতে এবং ঘুষের নগদ টাকা জোগাড় করতে একাধিক ব্যবসায়িক সত্তা ব্যবহার করে অর্থ পাচার করা হতো।

দোষ স্বীকারের চুক্তির অংশ হিসেবে জাকিয়া খান ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় ৬২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে সম্মত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে তার মালিকানাধীন একাধিক স্থাবর সম্পত্তি এবং তল্লাশির সময় জব্দ করা ৩ লাখ ডলারের বেশি নগদ অর্থ ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার। যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক নাতাশা সি. মার্লের আদালতে এই বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। 

ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্কের যুক্তরাষ্ট্র অ্যাটর্নি জোসেফ নোসেলা জুনিয়র বলেন, জাকিয়া খান একটি বড় অপরাধী চক্রের মূল হোতা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন, যারা সরকারের স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষার জন্য বরাদ্দ করা কোটি কোটি ডলার চুরি করেছে। এ ধরনের জালিয়াতি সমাজ ও সরকারি তহবিলের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ। 

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই জালিয়াতির অপরাধে আসামিদের সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। জাকিয়া খানের সহযোগী সিমা মেমন ও আমরান হাশমি আগেই দোষ স্বীকার করেছেন। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িত আরও ১১ জন সহ-আসামি বর্তমানে বিচারিক প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

কেই/এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা প্রবাস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর