-682053a6afc81.jpg)
জীবনঝড় কিংবা প্রাকৃতিক ঝড়, সবখানেই ভরসা মায়ের হাত | ছবি : ফারিহা আহমেদ তন্নী
আজ মে মাসের দ্বিতীয় রোববার, বিশ্ব মা দিবস। পৃথিবীর সব প্রান্তে আজকের দিনটি উৎসর্গ করা হচ্ছে সেই মানুষটির প্রতি, যিনি আমাদের পৃথিবীতে এনেছেন, লালন-পালন করেছেন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর ত্যাগের মাধ্যমে।
মা শুধু একটি শব্দ নয়—এটি একটি অনুভব, এক গভীর আশ্রয়। সন্তানের জীবনে মা হলেন প্রথম শিক্ষক, পথপ্রদর্শক এবং নিরন্তর সঙ্গী। মা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিদিন যার স্নেহে আমরা বেঁচে থাকি, তাকে অন্তত একটি দিনে বিশেষভাবে সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
বিশ্ব মা দিবসের ধারণাটি প্রথম প্রস্ফুটিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সমাজ সংস্কারক জুলিয়া ওয়ার্ড হোই ১৮৭০ সালে যুদ্ধবিরোধী শান্তি প্রচারে মায়েদের আহ্বান জানিয়ে ‘মা দিবসের ঘোষণাপত্র’ লেখেন। তবে আধুনিক মা দিবসের প্রবর্তন করেন আনা জার্ভিস, যিনি তার মায়ের স্মরণে ১৯০৮ সালে প্রথম মা দিবস উদযাপন করেন। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ১৯১৪ সালে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে জাতীয় মা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
একদিন নয়, প্রতিদিন হোক মা দিবস
যদিও মা দিবস একটি বিশেষ দিন হিসেবে পালন করা হয়, তবু মাতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা কেবল একটি দিনে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি সাফল্যের পেছনে যে মা নীরবে কাজ করেছেন, তার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও যত্ন প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হওয়া উচিত।
আসুন, মা দিবসে প্রতিজ্ঞা করি—শুধু আজ নয়, জীবনের প্রতিটি দিন যেন হয়ে ওঠে মা-কে ভালোবাসার দিন। তার মুখে হাসি ফুটুক আমাদের ছোট্ট ছোট্ট যত্ন, ভালোবাসা আর অন্তহীন শ্রদ্ধায়।
- এটিআর