-68355e098f3db.jpg)
ফার্মগেট নামটি ঢাকার মানচিত্রে প্রথম উঠে আসে ১৯৫০-এর দশকের শেষ দিকে, যখন এটি ছিল শহরের একটি প্রান্তিক এলাকা। ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান ১৯৫৯’ অনুযায়ী, এই অঞ্চলটি মূলত কৃষি ভিত্তিক ছিল। এখানে মুরগি ও গবাদি পশুর খামার ছিল, যেখান থেকে নামটি এসেছে—Farm Gates। কৃষকরা তাদের পণ্য শহরে আনতেন এই পথ দিয়ে।
১৯৬০-এর দশকে ঢাকা শহর যখন দ্রুত বড় হতে শুরু করে, তখন ফার্মগেট ধীরে ধীরে একটি ব্যস্ত চৌরাহায় রূপ নেয়। ১৯৬৪ সালে এখানে রেলওয়ে স্টেশন স্থাপিত হয়, যা পরিবহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গতিপথ হয়ে ওঠে। প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনে (১৫ জানুয়ারি, ২০১০) বলা হয়, ফার্মগেট তখন শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছিল। বাস, ট্রেন আর মানুষের ভিড়ে এই এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। এই সময় থেকেই ফার্মগেট ঢাকার একটি জীবন্ত অংশ হয়ে যায়, যেখানে শহরের বিভিন্ন অংশের মানুষ একত্রিত হতো। এটি ছিল একটি সাধারণ এলাকা থেকে বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরের শুরু।
১৯৭১-এর পরে শহরায়ণের সাক্ষী
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ঢাকায় মানুষের অভিবাসন বেড়ে যায়। ফার্মগেট এই সময়ে একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্রে রূপ নিতে শুরু করে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার ‘ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট’ (ডিআইটি) গঠন করে, যা শহরের পরিকল্পিত উন্নয়নের দায়িত্ব নেয়। ১৯৮০-এর দশকে ডিআইটি (বর্তমানে রাজউক) ফার্মগেটে সড়ক ও সেতু নির্মাণ শুরু করে। ১৯৮৪ সালে ফার্মগেট ওভারপাস নির্মিত হয়, যা শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আনে। দৈনিক সমকাল (২৩ মে, ১৯৮৫) লিখেছিল, ‘এই ওভারপাস ঢাকার যানজট কমাতে সাহায্য করবে, তবে এটি নতুন চাপও সৃষ্টি করছে।’ এই সময়ে এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, যেমন ১৯৮৭ সালে তেজগাঁও কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি যুবক-যুবতীদের আকর্ষণ করে। The Daily Star (১৯৭৭) এক প্রতিবেদনে জানায়, ফার্মগেটে ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ বাড়ছে, কিন্তু পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এই সময়ে ফার্মগেট শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে, যেখানে শহরের বিভিন্ন স্তরের মানুষ একত্রিত হতো।
১৯৯০-এর দশকে ফার্মগেটের রঙিন জীবন
১৯৯০-এর দশকে ফার্মগেট একটি বহুমুখী জীবনধারার কেন্দ্র হয়ে ওঠে। ঢাকা ট্রিবিউন (১২ জুলাই, ১৯৯৫) লিখেছিল, ‘ফার্মগেটে রাস্তার ধারে সিঙ্গাড়া থেকে শুরু করে হোটেল সোনারগাঁও পর্যন্ত সব পাওয়া যায়।’ এখানে ৫ টাকার আদা চা, ২০ টাকার ভেলপুরি, আর ৫০ টাকার বিরিয়ানি সবার পছন্দ হয়ে ওঠে। রাসেল চত্বরে ছাত্রদের আড্ডা, আনন্দ সিনেমা হলে ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখা, আর ধানমন্ডি লেকে রাতের আড্ডা—এইসব ফার্মগেটের পরিচয় হয়ে ওঠে। ১৯৯৮ সালে মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রাথমিক পরিকল্পনা শুরু হয়, যা ফার্মগেটকে ভবিষ্যতের শক্তিশালী কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে। দৈনিক ইত্তেফাক (২০ নভেম্বর, ১৯৯৮) জানায়, ‘এই প্রকল্প শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় বিপ্লব আনবে।’ এই সময়ে ফার্মগেট শুধু ব্যবসায়িক কেন্দ্র নয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মিলনের জায়গা হয়ে ওঠে। রাস্তার ধারে ছোট দোকান থেকে শুরু করে বড় হোটেল, সবকিছু এখানে পাওয়া যেত। এই বৈচিত্র্য ফার্মগেটকে ঢাকার একটি জীবন্ত প্রতীক করে তুলেছিল।
আধুনিকতার অগ্রযাত্রায় ২০০০-এর দশক
২০০০-এর দশকে ফার্মগেট আধুনিকতার পথে এগিয়ে যায়। ২০০৪ সালে বসুন্ধরা শপিং মলের উদ্বোধন এই এলাকাকে নতুন রূপ দেয়। প্রথম আলো (২৮ নভেম্বর, ২০০৪) লিখেছিল, ‘বসুন্ধরা শহরের মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের জন্য একটি নতুন গন্তব্য।’ এই সময়ে ফার্মগেটে ইসলাম মিশন, চার্চ, মসজিদের পাশাপাশি রাস্তার ভুখা শিশুদের উপস্থিতি একটি জটিল চিত্র তৈরি করে। ২০০৮ সালে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের উন্নতি কাজ শুরু হয়, যা এই এলাকার গতিশীলতা বাড়ায়। তবে, দৈনিক জাগরণ (১২ ডিসেম্বর, ২০০৯) জানায়, ‘ফার্মগেটে দূষণ ও যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা স্থানীয়দের জন্য উদ্বেগজনক।’
২০১০ সালে মেট্রোরেল নির্মাণ শুরু হয়, যা ২০২৩ সালে চালু হয়ে যানজট কিছুটা কমায়। এই দশকে ফার্মগেট আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের একটি মিশ্রণ হয়ে ওঠে। বড় শপিং মলের পাশাপাশি রাস্তার ছোট দোকানগুলো এখানকার জীবনের বৈচিত্র্য ধরে রাখে। ফার্মগেট তখন ঢাকার একটি আধুনিক কিন্তু জটিল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়।
উত্থান ও উত্তেজনায় ২০১০-এর দশক
২০১০-এর দশকে ফার্মগেট ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে আরও শক্তিশালী হয়। ২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনের সময় এই এলাকা একটি বড় সমাবেশক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিডিনিউজ২৪.কম (৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩) লিখেছিল, ‘ফার্মগেটে ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের ভিড় এই আন্দোলনের গভীরতা প্রকাশ করছে।’ ২০১৫ সালে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় ছাত্র আন্দোলন ফার্মগেটকে আবার খবরে নিয়ে আসে। দৈনিক কালের কণ্ঠ (২০ আগস্ট, ২০১৮) জানায়, ‘ফার্মগেটের ফুটওভার ব্রিজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।’ ২০১৮ সালে মেট্রোরেল নির্মাণে অগ্রগতি দেখা যায়, যা ফার্মগেটের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে। এই দশকে ফার্মগেট শুধু ব্যবসায়িক কেন্দ্রই নয়, সামাজিক আন্দোলনেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে ওঠে। তবে, যানজট ও দুর্ঘটনার ঘটনা এই এলাকার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ফার্মগেট তখন উত্থান ও উত্তেজনার একটি মিশ্রণে রূপ নেয়, যা ঢাকার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
আজকের ফার্মগেট-২০২৫
আজ, ফার্মগেট ঢাকার একটি জীবন্ত শহর হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ‘ঢাকা মেট্রোরেল অথরিটি’ (২০২৫ প্রতিবেদন) জানায়, দৈনিক ৩ লাখ মানুষ ফার্মগেট স্টেশন ব্যবহার করেন। মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর যানজট কিছুটা কমলেও সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। রাস্তায় দিনমজুরদের ঘুম, ভুখা শিশুদের উপস্থিতি, আর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবি এই এলাকাকে জটিল করে তুলেছে। প্রথম আলো (১৫ মে, ২০২৫) লিখেছিল, ‘ফার্মগেটের ব্যস্ততা বাড়ছে, কিন্তু সেবা সুবিধা এখনও পিছিয়ে আছে।’ এখানে ট্রেনের শব্দ, বাসের ভিড়, আর রাস্তার ব্যস্ততা একটি অদ্বিতীয় সংগীত তৈরি করে। ফার্মগেট এখন শুধু একটি চৌরাহা নয়, এটি ঢাকার জীবনের একটি প্রতীক। এই এলাকা আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের একটি মিশ্রণ, যেখানে প্রতিদিন নতুন গল্প জন্ম নেয়। তবে, এই ব্যস্ততার মাঝেও অনেক সমস্যা সমাধানের অপেক্ষায় রয়েছে।
ফার্মগেটের মিশ্র ধারা মানুষ
ফার্মগেটের মানুষের জীবনযাপন অসাধারণ। এখানে ছাত্রদের আড্ডা থেকে দিনমজুরের রাতের ঘুম—সবই মিশে আছে। দৈনিক প্রথম আলো (১০ এপ্রিল, ২০২৩) লিখেছিল, ‘ফার্মগেটের রাস্তায় প্রতিটি মানুষের গল্প আছে।’ সেজান পয়েন্টে এসি হাওয়ায় আড্ডা (৫০ টাকা প্রতি প্লেট), মিজান মামার রঙ চা (১০ টাকা) আর সুবাসের বিরিয়ানি (১০০ টাকা)—এই বৈচিত্র্য ফার্মগেটকে বিশেষ করে। তবে, ২০২৪ সালে বাস ভাঙচুর ও পুলিশের লাঠি এই এলাকার জীবনে উত্তেজনা যোগ করে। দৈনিক ইত্তেফাক (২০ জানুয়ারি, ২০২৪) জানায়, ‘ফার্মগেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা জরুরি।’ এখানে ধনী-গরিবের মিলন দেখা যায়। রাস্তার ধারে ছোট দোকান থেকে বড় শপিং মল—সবই এই এলাকার জীবনের অংশ। ফার্মগেটের মানুষের জীবন একটি মিশ্র ধারা, যেখানে আনন্দ আর কষ্ট পাশাপাশি চলে। এটি ঢাকার একটি জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
সাংস্কৃতিক ও সামাজিক গতিবিধি
ফার্মগেটে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক গতিবিধি খুবই সমৃদ্ধ। আনন্দ সিনেমা হলে ২০১৪ সালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ দেখার জন্য বিশাল জমায়েত হয়। ইসলাম মিশনে জুম্মা নামাজে মানুষের ভিড় আর আনোয়ারা পার্কে আড্ডা—এইসব এই এলাকার পরিচয়। দৈনিক জাগরণ (১৫ মার্চ, ২০২২) লিখেছিল, ‘ফার্মগেটের রাস্তা একটি উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক মঞ্চ।’ তবে, রাস্তার ভুখা শিশু ও দিনমজুরদের দুর্দশা এই সৌন্দর্যে কালো ছায়া ফেলে। এখানে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক বৈচিত্র্য একত্রে মিশে আছে। রাসেল চত্বরে ছাত্রদের আড্ডা, ধানমন্ডি লেকে রাতের হাঁটা আর সেজান পয়েন্টে বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো—এইসব ফার্মগেটের জীবনকে রঙিন করে। তবে, রাস্তার ব্যস্ততা আর নিরাপত্তাহীনতার মাঝেও এই এলাকা তার সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি ধরে রেখেছে। ফার্মগেট শুধু একটি জায়গা নয়, এটি একটি জীবনের অংশ।
হারিয়ে যাওয়া ফার্মগেটের সেই পার্ক
ফার্মগেটের বুকে একসময় ছিল একটি ছোট্ট পার্ক, যা স্থানীয়দের কাছে ছিল একটি শান্তির আশ্রয়। আনোয়ারা পার্ক নামে পরিচিত এই জায়গাটি ১৯৮০-এর দশকে ছিল ফার্মগেটের একটি জনপ্রিয় স্থান। এখানে সন্ধ্যার পর স্থানীয়রা হাঁটতে আসতেন, বাচ্চারা খেলাধুলা করত, আর বন্ধুরা আড্ডা দিত। দৈনিক ইত্তেফাক (১৫ জুন, ১৯৮৮) এক প্রতিবেদনে লিখেছিল, ‘আনোয়ারা পার্ক ফার্মগেটের ব্যস্ততার মাঝে একটি সবুজ দ্বীপ।’ তবে, ২০০০-এর দশকের শুরুতে শহরের উন্নয়নের নামে এই পার্কটি হারিয়ে যায়। ২০০৫ সালে এর জায়গায় বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ শুরু হয়। প্রথম আলো (২০ মার্চ, ২০০৬) জানায়, ‘আনোয়ারা পার্কের জায়গায় এখন একটি বহুতল ভবন, যা স্থানীয়দের মনে ক্ষোভ তৈরি করেছে।’ এই পার্ক ছিল শুধু একটি জায়গা নয়, এটি ছিল ফার্মগেটের স্মৃতি। অনেকে এখনো সেই পার্কের কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। ফার্মগেটের ব্যস্ততার মাঝে আজ আর সেই সবুজ আশ্রয় নেই, কিন্তু এর স্মৃতি স্থানীয়দের হৃদয়ে রয়ে গেছে।
নতুন চ্যালেঞ্জ ও অদেখা ভবিষ্যৎ
ফার্মগেটের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো যানজট, দূষণ, আর সামাজিক অসমতা। ‘রাজধানী ঢাকা শহর পরিকল্পনা ২০৩৫’ প্রকল্পে বলা হয়েছে, ফার্মগেটে আধুনিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের প্রয়োজন। ঢাকা ট্রিবিউন (২০ মে, ২০২৫) জানায়, ‘মেট্রোরেল সত্ত্বেও এখানে বিকল্প পথ দরকার।’ যানজটের কারণে মানুষ প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকে। দূষণ এখানকার বাতাসকে ভারী করে তুলেছে। রাস্তায় ভুখা শিশু ও দিনমজুরদের জীবন সামাজিক অসমতার একটি বড় চিত্র। তবে, ফার্মগেটের জীবনী শক্তি অটুট রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও পরিকল্পিত উন্নয়ন হলে ফার্মগেট আরও উন্নত হতে পারে। এর জন্য সরকার ও স্থানীয়দের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ফার্মগেটের ভালোবাসা
ফার্মগেট ঢাকার একটি প্রতীক—এটি রঙিন, আবার কালোও। প্রথম আলো (১৫ মে, ২০২৫) লিখেছিল, ‘ফার্মগেট শুধু একটি চৌরাহা নয়, এটি একটি জীবনধারা।’ আমার জন্য ফার্মগেট ১২ বছরের স্মৃতি, শিক্ষা, আর কষ্টের জায়গা। এখানে আমি হাসি, আর কান্না দুটোই পেয়েছি। রাসেল চত্বরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ধানমন্ডি লেকে হাঁটা, আর সেজান পয়েন্টে সময় কাটানো—এইসব স্মৃতি আমার হৃদয়ে গেঁথে আছে। ফার্মগেট আমাকে শিখিয়েছে জীবনের বৈচিত্র্য, আর কেড়ে নিয়েছে কিছু স্বপ্ন। তাই সুযোগ পেলেই আমি ছুটে যাই এর কাছে। এই এলাকা শুধু একটি জায়গা নয়, এটি একটি আবেগ। ফার্মগেটের ব্যস্ত রাস্তা, মানুষের ভিড়, আর জীবনের গল্প আমাকে টানে। ভালোবাসি তোমাকে হে ফার্মগেট! তুমি আমার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
- এটিআর