Logo

রাজধানী

পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় আ.লীগ নেতা শিমু

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১১:০১

পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় আ.লীগ নেতা শিমু

সামসুদ্দোহা শিমু ও আবদুর রহমান

সাবেক প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান ও নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর আওয়ামী লীগ নেতা সামসুদ্দোহা শিমু এখন পুলিশের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। তার খোঁজে বিশেষ টিম গঠন করে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। 

শিমু তার যেসব বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী ও আত্মীয়স্বজনের বাসায় লুকিয়ে থাকতে পারেন তার তালিকা তৈরির কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল।

ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাদ আলী বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। পুলিশ যদি আসামি ধরতে গিয়ে আসামির পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে বাধার সম্মুখীন হয় তখন বাহিনীর পক্ষ থেকেই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়। 

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন সাইদনগর হাউজিং এলাকায় শিমুকে গ্রেপ্তারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমরা দ্রুতই তাকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হব।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় সামসুদ্দোহা শিমুর নামে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলার আসামি হিসেবেই পুলিশ এই নেতাকে গ্রেপ্তার করতে ভাটারায় তার বাড়িতে গত ৮ মার্চ গভীর রাতে অভিযান চালায়। কিন্তু অভিযানের এক পর্যায়ে কৌশলে পালিয়ে যান শিমু। নারায়ণগঞ্জের সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের বন্ধুখ্যাত শিমু ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বাসাবো থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদেও ছিলেন।

কারাগারে আটক সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার আত্মীয় শিমুর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগসহ আন্দোলন দমনকারী অন্যদের মদদদাতা ও অর্থায়নের অভিযোগ আছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, আসামি খোঁজার পদ্ধতি অনুযায়ী তারা সম্ভাব্য সকল ধরনের কার্যক্রম শুরু করেছেন। পলাতক আসামি শিমুর মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি, ভাগনে-ভাগ্নি, ভাতিজা-ভাতিজি, ভাইসহ ঘনিষ্ঠদের তালিকা ও ঠিকানা তারা প্রস্তুত করে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর কাজ শুরু করেছেন। শিমু যেন বিদেশে পালাতে না পারেন সেজন্য বিমানবন্দরে ও স্থল সীমান্তগুলোতে তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা শিমু শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন সরবরাহকারীর থেকে অর্থসহ কী কী অনৈতিক সুবিধা নিয়েছে তা নিয়ে কাজ করছে ডিএমপির গোয়েন্দা ইউনিট পলাতক। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন অনুযায়ী চাকরিতে থেকে কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা রাজনৈতিক দলের পদে থাকতে পারেন না। কিন্তু শিমু চাকরিতে থেকে কীভাবে বাসাবো থানা ও আলফাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের পদে ছিলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় হয়ে থাকলে মামলাসহ আরও ব্যবস্থা হবে বলে জানান ডিএমপির উপ কমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান।

ডিআর/ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর