Logo

স্বাস্থ্য

অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হলেই চক্ষু হাসপাতালে সেবা শুরু : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১৯:৩৪

অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হলেই চক্ষু হাসপাতালে সেবা শুরু : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতাল।

চিকিৎসাসেবার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হলেই জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে সকল ধরনের চিকিৎসাসেবা পুনরায় চালু করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

শনিবার (৩১ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীরা গত ২৯ মে হাসপাতাল অভ্যন্তরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি অধিকাংশ রোগী হাসপাতাল ত্যাগ করেন। বর্তমানে কেবল জুলাই যোদ্ধারাই হাসপাতালে অবস্থান করছেন। সকল সেবা বন্ধ থাকলেও জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের পথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে সারাদেশ থেকে আগত চক্ষুরোগীদের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা সেবাবঞ্চিত সকল রোগীর প্রতি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।

এ অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে একটি প্রতিনিধিদল প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতিনিধিদল আহতদের সঙ্গে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা করছেন। এ মুহূর্তে আমরা আলোচনার একটি ইতিবাচক ফলাফলের প্রত্যাশায় আছি।

এ সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে চক্ষু চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন রোগীদের নিকটস্থ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মে হাসপাতাল পরিচালকের কক্ষে বিষপান করেন জুলাই আন্দোলনে আহত চার তরুণ। এর রেশ না কাটতেই গত মঙ্গলবার পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে গায়ে পেট্রল ও কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তারা। পরদিন বুধবার চিকিৎসকদের ওপর হামলা হয়।

এসব ঘটনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন ডা. খায়ের আহমেদ। পরে তাকে সাত দিনের ছুটি দেওয়া হয়। তার স্থানে ডা. জানে আলমকে হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এসআইবি/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর