অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতাল

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১৩:৫৪

ছবি : বাংলাদেশের খবর
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টানা পাঁচদিন ধরে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাসেবা। প্রতিষ্ঠানটি আবার কবে খুলবে ও সেবা দেবে সে বিষয়ে দায়িত্বরতরা নিশ্চিত না। হাসপাতালটিতে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত তরুণদের সঙ্গে চিকিৎসক-কর্মচারীদের সংঘর্ষের পর থেকে এমন অচলাবস্থা চলছে। এমতাবস্থায় রোগীরা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
রোববার (১ জুন) দুপুর ১২টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত নেই। হাসপাতালটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা নিরাপত্তার অভাবে কাজে ফিরতে পারছেন না। এমনকি আহত তরুণদের একটি অংশ বাসা-বাড়িতে হামলার পরিকল্পনা করছে। এমন গুঞ্জনে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বিষয়টি নিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় হাসপাতালের পরিস্থিতি জানে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় হাসপাতাল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সেবা চালু করা যাবে নিশ্চিত নই।
এদিকে শনিবার (৩১ মে) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে চিকিৎসাসেবার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হলেই জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সষ্টিটিউট হাসপাতালে সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা পুনরায় চালু করা হবে। এই সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে চক্ষু চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন রোগীদের নিকটস্থ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে হাসপাতাল পরিচালকের কক্ষে চার আহত তরুণ বিষপান করেন। পরদিন ২৮ মে তারা হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে তাদের গায়ে পেট্রোল ও কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। এর পরদিন, ২৯ মে হাসপাতালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সংঘর্ষের দিন পরিচালকের কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে কর্মবিরতি শুরু করলে বিক্ষুব্ধ তরুণদের একটি অংশ চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৯ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আহত হন। সংঘর্ষের পর হাসপাতালটিতে জুলাই আন্দোলনে আহতরা অবস্থান করলেও বেশিরভাগ সাধারণ রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন।
এসব ঘটনার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে পরিচালকের দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানান অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ। পরে তাকে সাত দিনের ছুটিতে পাঠানো হয় এবং ডা. জানে আলমকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এসআইবি/এএ