Logo

স্বাস্থ্য

চক্ষু হাসপাতাল

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর চিকিৎসক-কর্মচারীদের ৮ দফা দাবি

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১২:২৫

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর চিকিৎসক-কর্মচারীদের ৮ দফা দাবি

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সংকট উত্তরণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে জুলাই আহতদের পুনর্বাসনসহ ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) হাসপাতাল বন্ধের ১৬তম দিনে স্বল্প পরিসরে আউটডোর সেবা চালু করা হয়। এর পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একসঙ্গে সভায় বসেন।

পরে তারা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং জুলাই আহতদের পুনর্বাসনসহ ৮ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দেন। তার একটি অনুলিপি জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত ‘জুলাই আন্দোলন’-এ আহত সব রোগীকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ও মানবিক বিবেচনায় উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বর্তমানে আমাদের হাসপাতাল এক চরম নিরাপত্তা সংকট ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন।

এতে আরও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজন শেষ হওয়া সত্ত্বেও কিছু রোগী প্রায় ১০ মাস যাবৎ অপ্রয়োজনে হাসপাতালে অবস্থান করছেন। তারা হাসপাতালের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে উশৃঙ্খল আচরণ, চিকিৎসক ও কর্মচারীদের গালিগালাজ, শারীরিক আক্রমণ, এমনকি হাসপাতাল পরিচালকের ওপর হামলা ও আগুন লাগানোর হুমকিসহ নানাবিধ সহিংস কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন।

স্মারকলিপিতে উল্লিখিত দাবিগুলো হলো—
১. আহত ‘জুলাই যোদ্ধা’দের পূর্ণ পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান এবং আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. যেসব রোগীর আর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই, তাদের ছাড়পত্র দিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. তাদের কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়/সিএমএইচ/ ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে
৪. অনাবশ্যক রোগী ভর্তি প্রতিরোধে একটি কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় আহত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথাযথ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৬. হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে
৭. আহতদের সেবা প্রদানকারী চিকিৎসক, নার্স কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপযুক্ত স্বীকৃতি দিতে হবে।
৮. ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করতে হবে।

  • এসআইবি/এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জাতীয় চক্ষু হাসপাতাল

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর