
সারাদেশে এডিস মশা নিধন কার্যক্রমে দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতার ফলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) পর্যন্ত দেশে ৯ হাজার ৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে জুন মাসেই ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৭২০ জন। যেখানে মে মাসে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৭৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের শুরুতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬ ও এপ্রিল মাসে ৭০১ জন রোগী ভর্তি হন।
কিন্তু মে মাস থেকে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। জুনে এসে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। বিশেষ করে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে। বিশেষ করে বরগুনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে জুলাই-আগস্টে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, মে মাসের তুলনায় জুনে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ে তা চার থেকে পাঁচগুণ ও আগস্টে দশগুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যখন রোগবাহী এডিস মশা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী—দুটোই একসঙ্গে বাড়ে, তখন রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমরা বারবার সতর্ক করেছি, কিন্তু কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি।
ডিআর/এমবি