Logo

স্বাস্থ্য

সহজ হচ্ছে অঙ্গ দান ও প্রতিস্থাপন

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৪

সহজ হচ্ছে অঙ্গ দান ও প্রতিস্থাপন

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : সংগৃহীত

মানবদেহে অঙ্গ দান ও প্রতিস্থাপনের পদ্ধতি সহজ করতে নতুন একটি অধ্যাদেশ অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে নিকটাত্মীয়ের পরিধি বাড়িয়ে ভাতিজা-ভাগনদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, পাশাপাশি দেশের মধ্যেই বৈধভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ‘এর আগে কেবল বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তানদের কাছ থেকে অঙ্গ নেওয়ার অনুমতি ছিল। নতুন অধ্যাদেশে ভাতিজা-ভাগন, ফুফাতো কিংবা খালাতো সম্পর্কের আত্মীয়দের অঙ্গদানকেও অনুমোদনের আওতায় আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কিডনি, কর্নিয়া কিংবা অন্যান্য অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য আর বিদেশে যেতে হবে না। এখন থেকে দেশেই নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে এসব সেবা নেওয়া যাবে।’

নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে মৃত্যুর পর চিকিৎসা ও গবেষণার প্রয়োজনে দেহ দানের নিয়মেও কিছু সংশোধন আনা হয়েছে বলে জানান তিনি। আন্তর্জাতিক আইন পর্যালোচনা করে অধ্যাদেশটি হালনাগাদ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “এই অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের ফলে ‘ক্রস ম্যাচিং’ বা ‘এক্সচেঞ্জ ট্রান্সপ্লান্ট’-এর সুযোগ তৈরি হবে। এক আত্মীয়ের অঙ্গ সরাসরি না মিললেও অন্য এক আত্মীয়ের সঙ্গে ক্রস করে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে। এর ফলে ম্যাচিংয়ের হার গড়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে।”

তিনি আরও জানান, ডোনার ডেটাবেজের মাধ্যমে সম্ভাব্য দাতাদের মধ্যে জিনোটাইপ মিল খুঁজে বের করা যাবে, যা প্রতিস্থাপন কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও গতিশীল করে তুলবে।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন পাস হয় ১৯৯৯ সালে। পরে ২০১৮ সালে এই আইনে আনা হয় কিছু সংশোধনী। 

এসআইবি/এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রেস সচিব

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর