অটিজম আক্রান্ত শিশুর সময়মতো চিকিৎসা করতে হবে : ডা. তাসনুভা তুন্না

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৪৯

সময়মতো চিকিৎসা করানোর ওপর জোর দিয়ে ডা. তাসনুভা তুন্না বলেন, ‘শিশুদের এ সমস্যা থাকলে আমরা জানি এর ভুক্তভোগী বাবা-মায়েরাও হন। টাকা খরচ হয়, সময় ব্যয় হয়। আমার কাছে যারা আসেন, তারা অনেক দেরি করে আসেন। আমাদের দেশের মানুষ আগে টাকা বাঁচানোর কথা চিন্তা করে। এর ফলে শারীরিক অনেক ক্ষতি হয়। এজন্য কোনো রোগ ধরা পড়লে টাকার কথা চিন্তা না করে চিকিৎসার দিকে নজর দিতে হবে। শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্টের জন্য যা করা দরকার, তা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অটিজম সাকসেসের জন্য পাঁচটি পিলার রয়েছে। প্রথমটি হলো— মাইন্ডসেট অ্যান্ড ট্রমা হিলিং। আমাদের যেভাবে মানুষ করা হয়েছে, আমরা আমাদের শিশুদের সেভাবেই বড় করতে চাই। আপনাকে যেভাবে বড় করা হয়েছে, সেটির ওপর আপনার ট্রমা হিলিং তৈরি হয়েছে। সেটির প্রভাব অনেক ক্ষেত্রে শিশুর ওপর পড়ে। আমাদের শিশুর বর্তমান ও ভবিষ্যতের সফলতা আমাদের হাতেই।’
শনিবার (৯ আগস্ট) কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘অটিজম সাকসেস একাডেমি’ আয়োজিত ‘ডিনার উইথ ডক্টর টি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অটিজম আক্রান্ত শিশু এবং তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে অটিজম সচেতনতা ও প্যারেন্ট সাপোর্ট কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে ডা. তাসনুভা তুন্না বলেন,
‘অটিজম আক্রান্ত শিশুর চাহিদা অনুযায়ী প্যারেন্টিং করতে হবে এবং সময়মতো চিকিৎসা শুরু করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অটিজম সাকসেসের জন্য পাঁচটি পিলার রয়েছে। প্রথমটি মাইন্ডসেট অ্যান্ড ট্রমা হিলিং। আমাদের যেভাবে মানুষ করা হয়েছে, আমরা শিশুদের সেভাবেই বড় করতে চাই। আপনাকে যেভাবে বড় করা হয়েছে, সেটির ওপর আপনার ট্রমা হিলিং তৈরি হয়েছে। সেটির প্রভাব অনেক ক্ষেত্রে শিশুর ওপর পড়ে। আমাদের শিশুর বর্তমান ও ভবিষ্যতের সফলতা আমাদের হাতেই। অটিস্টিক শিশু আর সাধারণ মানুষের ট্রমা সার্কেল ভিন্ন। নন-ভার্বাল শিশুরা সাধারণ শিশুদের তুলনায় বেশি হতাশায় ভোগে। আপনার শিশুর ট্রমা সার্কেলটি বুঝতে পারলে তার চিকিৎসা করাটা সহজ হবে।’
‘দ্বিতীয় পিলার হলো গাট-ব্রেইন হিলিং ডায়েট, যার মধ্যে শর্করার পরিমাণ কম থাকবে। তৃতীয় হলো ডিটক্সিফিকেশন— শিশুর ৯০-৯৫ শতাংশ নিউরোট্রান্সমিটার পেট থেকে আসে, অর্থাৎ খাবার থেকে। এজন্য শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া জরুরি। তাদের অবশ্যই কেমিক্যাল থেকে দূরে রাখতে হবে এবং প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে ডিটক্সিফিকেশন করতে হবে। চতুর্থ পিলার হলো হোলিস্টিক লাইফস্টাইল— সামাজিক সচেতনতা জরুরি, শিশুর পূর্ণাঙ্গ রুটিন তৈরি করতে হবে এবং সারাদিন সে কী করছে তা খেয়াল রাখতে হবে। সর্বশেষ পিলার হলো নিড-বেইজড প্যারেন্টিং, অর্থাৎ শিশুর চাহিদার ওপর নির্ভর করে প্যারেন্টিং করতে হবে।’
এমডিএ/এইচকে