প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে মেডিকেল অক্সিজেন : সায়েদুর রহমান

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৪

ছবি : বাংলাদেশের খবর
দেশে মেডিকেল অক্সিজেনকে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও ফার্মাকোলজিস্ট অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম ‘অক্সিজেন সামিটে’ তিনি এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘অক্সিজেন আসলে একটি ওষুধ, তাই এর গুরুত্বও সেইভাবে পাওয়া উচিত। আমরা এটিকে শিগগিরই এসেনশিয়াল মেডিসিনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছি। এতে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেনের দাম একেক রকম। একই মানের অক্সিজেনের দাম ভিন্ন হওয়াটা অস্বাভাবিক। অক্সিজেনকে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ হিসেবে ঘোষণা করা হলে এ বৈষম্য দূর হবে।’
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট কার্যকর রয়েছে, তবে প্রায় ৭০টির মতো প্ল্যান্ট অকেজো বলে জানান তিনি। এসব প্ল্যান্ট পুনরায় সচল করতে সরকার ন্যাশনাল অক্সিজেন নেটওয়ার্ক গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।
সায়েদুর রহমান বলেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে অক্সিজেনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমানে অনেক জায়গায় তা অনুপস্থিত। আমরা অকার্যকর প্ল্যান্টগুলো পুনর্বিন্যাস ও মেরামতের কাজ শুরু করেছি।’
সরকার এখন দেশীয়ভাবে অক্সিজেন উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অক্সিজেন উৎপাদন শুধু স্বাস্থ্য নয়, এটি একটি সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। আমরা এটাকে ভ্যাকসিন, অ্যান্টিভেনোম এবং অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিনের মতোই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দেখছি।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর, আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ প্রমুখ।
আয়োজক হিসেবে অংশ নেয় আইসিডিডিআর, বি, দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথ, এভরি ব্রেথ কাউন্টস এবং ইউনিটএইড।
সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৮৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার মেডিকেল অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ প্রয়োজনের সময় পর্যাপ্ত অক্সিজেন পান না।
এনএমএম/এএ