‘উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ সরবরাহ জরুরি’
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৭
বাংলাদেশে শীর্ষ ১০টি রোগের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ—এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হেলথ অ্যান্ড মরবিডিটি স্ট্যাটাস সার্ভে–২০২৫-এ। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরবিচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে “উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: অগ্রগতি, বাধা এবং করণীয়” শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এ আহ্বান জানানো হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)-এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার ২৮ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, দেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৭১ শতাংশই অসংক্রামক রোগজনিত হলেও এই খাতে বরাদ্দ অত্যন্ত সীমিত। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, স্বাস্থ্য খাতে সরকারের মোট অর্থায়নের ৫ শতাংশেরও কম ব্যয় হয় অসংক্রামক রোগ সংক্রান্ত কার্যক্রমে। বক্তারা বলেন, এই অপ্রতুল বরাদ্দ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থও অনেক ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে ব্যবহার হচ্ছে না।
বক্তারা আরও বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে উচ্চ রক্তচাপজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যু উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ব্যয়ও হ্রাস পাবে। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সদস্য ডা. গীতা রানী দেবী বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে। পর্যায়ক্রমে সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. রিয়াদ আরেফিন বলেন, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ উৎপাদন ও সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। দ্রুতই দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের হেড অব নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স জহিরুল আলম, জিএইচএআই বাংলাদেশের কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার প্রোগ্রাম অফিসার সামিহা বিনতে কামাল।
এসআইবি/আইএইচ

