রাজুতে একসঙ্গে জাতীয় সংগীত গাইলো ছাত্রদল, ইউনিয়ন, বাগছাস

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ২১:২৩
-682212750c857.jpg)
শাহবাগে জাতীয় সংগীত অবমাননার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়েছে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৭টায় তারা একসঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের শহীদরা, লও লও সালাম’, ‘চব্বিশের শহীদরা, লও লও সালাম’, ‘একাত্তরের বাংলায়, রাজাকারের ঠাই নাই’, ‘তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশি বাংলাদেশি’, ‘পাকিস্তানের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’—স্লোগান দেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন শাওন, বিএম কাউছার, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম ভূইয়া ইমন, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আরমানুল হক, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহবায়ক আবু বাকের মজুমদার ও মুখপাত্র আশরেফা খাতুন, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদেরসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএম কাউসার বলেন, বাংলাদেশকে যারা ধারণ করে, বাংলাদেশের অস্তিত্বকে যারা বিশ্বাস করে, তারা সবসময় একই কাতারে ছিল, একই কাতারে থাকবে। যারা এখনো পাকিস্তানকে ভালবাসে, পাকিস্তানকে যারা এখনো ভুলতে পারে না, তোরা এখনো বাংলাদেশকে ভালবাসতে পারেনি। তারা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের যে অবমাননা করেছে এটাই তার প্রমাণ। তাদের অন্তরে এখনো পাকিস্তান প্রীতি রয়েই গেছে। যার প্রতিবাদ স্বরূপ আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়েছি। আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি বাংলাদেশের অস্তিত্বকে ভালবাসি।
কর্মসূচিটির আয়োজক বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাকিব বিশ্বাস বলেন, শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রোগ্রামে বাংলাদেশ বিরোধীরা বাংলাদেশের অবমাননাকর, বাংলাদেশী জাতিসত্তার প্রশ্নে নিজেদের দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এখানে একত্রে হয়েছি। জাতীয় সংগীতের অবমাননা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র যদি ব্যবস্থা নেয় আমরা তাদের পক্ষে থাকবো।
ছাত্র ইউনিয়নের মেঘমল্লার বলেন, বাংলাদেশে যদি এখনো মুক্তিযুদ্ধকে আঘাত করা হয় তাহলে রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে মানুষ এখনো প্রতিরোধ করতে জানে, স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে এটা জানিয়ে দিতে হবে। একটা জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ করতে করতে কৃষক দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে। জাতীয় সংগীতে কী সমস্যা আছে সেটা তারা বলুক।
তিনি বলেন, আসলে বিষয়টা শুধু জাতীয় সংগীত না, বিষয়টা জাতীয় পতাকা-মুক্তিযুদ্ধও। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি ৫৫ বছরেও পরাজয় মানতে নারাজ এবং তারা মনে করে চব্বিশ তারা ঘটাইছে। এটা বিপদজ্জনক। কাজে চব্বিশের পক্ষে-অভ্যুত্থানের পক্ষে যারা ছিল তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের আস্ফালন দেখে শঙ্কিত। তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় হয়েছে।
আব্দুল কাদের বলেন, একাত্তর সালে যারা পাকিস্তানপন্থী ছিল, বাংলাদেশ বিরোধী ছিল তারা বিভিন্নভাবে ওঁৎ পেতে আছে, সুযোগ পেলে আবারো একাত্তরের সবচেয়ে বেশি বিরোধী ছিল সেই বিরোধীতা এখনো করতে চায়। আমরা বার্তা দিতে চাই, এখন আর সেই সুযোগ নাই।
গনতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবু বাকের মজুমদার বলেন, কারা এটি করেছ তাদের আমরা এখনো চিহ্নিত করতে পারিনি। তবে আমরা দেখেছি, সেই আন্দোলনকে স্যাবোটাইজ করার জন্য অনেকে সেখানে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত স্লোগান দিয়েছে। সেখানে গোলাম আজমের বাংলা বলে স্লোগান দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গোলাম আজম এই বাংলার কে? যারা একাত্তরের গণহত্যার জড়িত সে যেই হোক এই বাংলার হতে পারে না।
এমএমআই/বিএইচ