হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা, শাহবাগে জড়ো হচ্ছে ছাত্র-জনতা
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৯
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে শুরু করেছেন। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ শাহবাগে আসছেন। হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে ‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’— এরকম স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সারাদেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্র-জনতা। ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কর্মসূচির কথা জানান।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের সেনানী শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ এবং বিপ্লব অব্যাহত রাখতে ছাত্র-জনতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।’
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— শুক্রবার জুমার নামাজের পর সারাদেশের সকল মসজিদে শহীদ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত। এছাড়া বিকাল ২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত শহীদ হাদি চত্বরে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।
সাদিক কায়েম উল্লিখিত কর্মসূচিতে দেশের আপামর ছাত্র-জনতাকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ওসমান হাদির রক্তের আমানত এই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতা সড়কে নেমে প্রতিবাদ জানান।
শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকায় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বেশ কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।
হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে থমথমে ও উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এমএইচএস

