চরফ্যাসনে লাম্পি স্কিনে বিপর্যস্ত গবাদিপশু খাত, আক্রান্ত ৪ হাজার গরু

এম ফাহিম, চরফ্যাসন (ভোলা)
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮:০৫
-6865208e33436.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় লাম্পি স্কিন নামক ভাইরাসজনিত রোগে কয়েক হাজার গরু আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এই রোগ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় কৃষক ও খামারিরা পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত চরফ্যাসনে ৪ হাজার ৩৭১টি গরু আক্রান্ত হয়েছে; চিকিৎসা পেয়েছে ৩ হাজার ৪৪টি। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ (LSD) একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস। যা মাছি, মশা, টিকসহ বিভিন্ন বাহকের মাধ্যমে ছড়ায়। গরুর শরীরে গুটি, জ্বর, খাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখ ও নাক দিয়ে পানি পড়া—এ রোগের সাধারণ লক্ষণ।
চর কুকরীমুকরী, চর মানিকা, নজরুল নগর, আড়ালিয়া, ওসমানগঞ্জ ও শশীভূষণসহ বেশ কিছু ইউনিয়নে সংক্রমণ বেশি দেখা গেছে।
স্থানীয় খামারিরা বলছেন, সরকারি টিকা না থাকায় ও মাঠপর্যায়ে সেবা না পৌঁছানোয় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। নজরুল নগরের কৃষক মাহে আলম ও খামারি খোরশেদ আলম জানান, গরু অসুস্থ হলেও ওষুধে কাজ হয়নি। পরে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে চিকিৎসা নিলেও টিকার অভাবে পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে না।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রাজন আলী জানান, ‘এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন এখনো বাজারে আসেনি। সরকার তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
তিনি জানান, আক্রান্ত গরুকে আলাদা রাখা, পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চরফ্যাসন উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার গরু রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অবিলম্বে ভ্যাকসিন সরবরাহ, ফিল্ড টিম গঠন ও ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
এআরএস