বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:২৩
-68c956d20df09.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বাগেরহাটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন।
এর আগে বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির পক্ষে ব্যারিস্টার জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন।
এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল পৃথক দুটি রিট করেন। আরও কয়েকটি রিট পিটিশন দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন। ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।’
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই স্থানীয়রা আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেন বাগেরহাটবাসী। কিন্তু ৪ সেপ্টেম্বর ইসি শুধুমাত্র সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
গেজেটে বলা হয়—বাগেরহাট-১: বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট; বাগেরহাট-২: ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা; বাগেরহাট-৩: কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।
দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা ছিল—বাগেরহাট-১: চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২: বাগেরহাট সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩: রামপাল-মোংলা; বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।
শেখ আবু তালেব/এআরএস