কুষ্টিয়ায় এবারের দুর্গোৎসবে ২৫০ মণ্ডপ, বেড়েছে আরও ২২টি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৫১
-68caaee8bcd33.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মণ্ডপগুলোতে চলছে নানা প্রস্তুতি। প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকেরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শেষ মুহূর্তের কাজ নিয়ে। গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় বেড়েছে ২২টি পূজা মণ্ডপ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যানুসারে, এবার কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় মোট ২৫০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসায় ৫৯টি, কুমারখালীতে ৫৯টি, মিরপুরে ২৮টি, ভেড়ামারায় ১১টি এবং দৌলতপুরে ১২টি মণ্ডপে পূজা হবে। গত বছরের তুলনায় ২২টি মণ্ডপ বেড়েছে।
প্রতিমা শিল্পীরা জানালেন, এ বছর চাহিদা বেশি থাকায় তাদের বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে। কুমারেশ দাস নামের এক শিল্পী বলেন, “শেষ সময়ে কাজের চাপ বেড়ে যায়। এবার প্রতিমার সংখ্যা বেশি হওয়ায় সময়মতো শেষ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।”
হরিবাসর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের উপদেষ্টা বিপ্রজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘প্রশাসনের সহযোগিতা ও আশ্বাসে প্রতিবছরের মতো এবারও উৎসব মুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা করতে পারব বলে আশা করছি।’
মিলপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী বাগচী বলেন, ‘প্রত্যেক ধর্মকে সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব। দুর্গোৎসবকে ঘিরে এলাকাবাসী সবসময় আমাদের পাশে থাকেন।’
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এ বছর দেবী দুর্গা আসবেন হাতিতে চড়ে এবং কৈলাশে ফিরবেন দোলায়—জানালেন কুষ্টিয়া মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোহিত পলাশ চক্রবর্তী।
কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।’
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রতিটি মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে এবং পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হবে।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, ‘ধর্মীয় উৎসব স্বাধীনভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালনের অধিকার সবার রয়েছে। কোনো গুজব বা প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। সরকার মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে।’
আকরামুজ্জামান আরিফ/এআরএস