দেশের শ্রমবাজারে গভীর সংকট দেখা দিয়েছে। অর্থনীতি, কর্মসংস্থান এবং সমাজ- তিন ক্ষেত্রেই এর প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কর্মক্ষম মানুষের একটি বড় অংশ কর্মহীন, নতুন চাকরি সৃষ্টি কমে গেছে এবং একই সঙ্গে শ্রমবাজারে অংশগ্রহণও হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশের খবরের এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই সংকটের মূল কারণ অর্থনৈতিক গতি মন্থর হওয়া, বিনিয়োগ স্থবিরতা, দক্ষতার ঘাটতি, শিল্প খাতে মন্দা এবং শিক্ষিত যুবসমাজের সীমিত কর্মজীবন সুযোগ।
বাংলাদেশ এক যুগ ধরে যে দ্রুতগতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গল্প শুনে এসেছে, তার বাস্তবতার সঙ্গে শ্রমবাজারের অবস্থার বিস্তর ফারাক তৈরি হয়েছে। শ্রমবাজারে যে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে, তা শুধু কর্মসংস্থান নয়- সামাজিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ আস্থা, উৎপাদনশীলতা এবং পরিবারিক নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করছে।
দেশে বর্তমানে চাকরি কমছে, কর্মক্ষম মানুষের হতাশা বাড়ছে। বিগত কয়েক মাসে বিভিন্ন শিল্প মালিক, চাকরি প্রার্থীদের অভিভাবক এবং শ্রমসম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা একই সুরে বলছেন, বাজারে কাজের সুযোগ কমে গেছে। নতুন নিয়োগ প্রায় নেই বললেই চলে। এক সময় যেখানে প্রতি মাসে কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠান শতাধিক কর্মী নিয়োগ দিত, সেখানে এখন কিছু প্রতিষ্ঠান আকার ছোট করছে, প্রথম পাতার পর আবার কেউ কেউ বন্ধও করে দিচ্ছে।
ঢাকার মিরপুরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক শেষ করেছেন তারিক হাসান। তিন মাস ধরে চাকরি খুঁজছেন, কিন্তু প্রতিটি জায়গায় একই অভিজ্ঞতা- ‘রিক্রুটমেন্ট বন্ধ’, ‘অভিজ্ঞ প্রার্থী চাই’, অথবা ‘পজিশন অন হোল্ড’।
এমন পরিস্থিতি শুধু শহরে নয়; জেলা শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলেও একই চিত্র। দক্ষতা অল্প হলে কাজ পাওয়া কঠিন, আর দক্ষতা বেশি হলে উপযুক্ত বেতন না পাওয়ার অভিযোগ।
এছাড়া বিনিয়োগেও সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্মসংস্থান সংকটের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে যাওয়া। অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা কম, নতুন বিনিয়োগে ঝুঁকি বাড়ছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার চাপের কারণে ব্যবসায়ীদের অনেকেই সম্প্রসারণমূলক পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছেন।
ঢাকার একাধিক ব্যবসায়ী নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশের খবরকে বলেন, কাঁচামাল আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ব্যাংক ঋণের ওপর সুদের হার অনেক বেশি, বৈদেশিক লেনদেনে অনিশ্চয়তা রয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যার কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে অধিকাংশ উদ্যোক্তা নতুন কর্মী নিয়োগ না নিয়ে পুরোনো কর্মশক্তির মাধ্যমেই কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
দেশের শ্রমবাজার সাধারণত তিনটি প্রধান সেক্টরের ওপর দাঁড়িয়ে- কৃষি, শিল্প আর সেবা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিন ক্ষেত্রেই কর্মসংস্থান হ্রাস ঘটছে। যান্ত্রিকীকরণ বাড়ায় কৃষি খাতে শ্রমের প্রয়োজন কিছুটা কমেছে। আবার কৃষিপণ্যের দাম অনিয়মিত হওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেকেই বিকল্প উপার্জনের জন্য শহরে এলেও নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন না। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে অর্ডার ওঠানামা করায় নতুন নিয়োগ কমেছে। কিছু কারখানায় উৎপাদন সীমিত হওয়ায় শ্রমিক সংখ্যা কমানোও হয়েছে।
ব্যাংক, বীমা, হোটেল, আইটি- বেশ কিছু সেবাখাতে নিয়োগ অনেকটাই স্থবির। বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ীরা অনিশ্চয়তা কাটাতে না পারায় কর্মী বাড়ানোর চিন্তা নেই।
অনেকে বলছেন দেশে এখন দক্ষতার চাহিদা বাড়ছে কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থা তাল মিলাতে পারছে না। প্রতিবছর লাখ লাখ তরুণ শিক্ষাজীবন শেষ করে শ্রমবাজারে প্রবেশ করেন; কিন্তু তাদের দক্ষতা বর্তমান চাকরির চাহিদার সঙ্গে মেলে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় প্রযুক্তি ও স্কিল-ডেভেলপমেন্টের ঘাটতি আছে।
কাজের জায়গায় যেসব দক্ষতা প্রয়োজন- ডাটা দক্ষতা, ডিজিটাল টুলস, ভাষা দক্ষতা, ব্যবস্থাপনা জ্ঞান। সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে শেখানো হয় না। ফলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু দক্ষ কর্মীর সংকটও দেখা দিচ্ছে।
এ অবস্থাকে ‘দ্বৈত সংকট’ বলা হচ্ছে- চাকরি নেই, আবার কৃত্রিমভাবে দক্ষ কর্মীর ঘাটতিও রয়েছে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর ও সাভারের একাধিক পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, শ্রমবাজারের এই সংকটে সবচেয়ে বিপদে পড়েছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি। যাদের আয়ের ওপর পরিবার চলে, তাদের হাতে এখন অথৈ অনিশ্চয়তা। মাসের শেষে আয়-ব্যয় সামলানো কঠিন। বাসা ভাড়া, খাবার, শিক্ষা, চিকিৎসা- সবখানেই ব্যয় বেড়েছে। চাকরি হারালে বা আয় কমে গেলে পারিবারিক নিরাপত্তায় বড় আঘাত লাগে।
রাজধানীর ডেমরা এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নাম না প্রকাশ করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘বেতন একই, কিন্তু বাজার তিনগুণ। অতিরিক্ত আয় করার মতো কিছু নেই। মাসের শেষে ধার করতে হয়।’
এদিকে, শিক্ষিত যুবসমাজের বড় অংশ জানাচ্ছে, কাজের সুযোগ কমে যাওয়ায় তাদের মানসিক চাপ ভয়াবহভাবে বেড়েছে।
তরুণদের অনেকে বলছেন- দশটা জব অ্যাপ্লাই করি, একটারও ইন্টারভিউর ডাক পাই না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছেন শহিদুল ইসলাম। তিনি গতকাল বাংলাদেশের খবরকে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, চাকরি পাওয়ার আগে অভিজ্ঞতা চাই, অভিজ্ঞতা না থাকলে সুযোগ নেই- এই চক্র থেকে বের হওয়া কঠিন।
ফকিরাপুলের একটি ম্যাচে থাকেন খুলনার কামাল হোসেন। তিনটা টিউশনি করে কোনোমতে জীবনযাপন করছেন। জাপান মেজ ভাড়া দুপুরের খাওয়ায় খরচ হয়ে যায়। প্রায় রাতে না খেয়ে থাকতে হয় তার। তিনি বাংলাদেশের খবরকে গতকাল বলেন, চাকরি মেলে কিন্তু ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ, বেতন খুব কম। ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ নেই। তাই হতাশায় টিউশনি করেই নিজের জীবন চালাচ্ছি। গ্রামে বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন। টাকার জন্য বোনটাকে বিয়ে দিতে পারছি না। খুব যন্ত্রণায় আছি ভাই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে যুবসমাজকে হতাশাগ্রস্ত করে তোলে- যা শিক্ষা, সমাজ, পরিবার সবক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব আনতে পারে।
প্রবাসে কর্মসংস্থান বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ বা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য যান। কিন্তু এখানেও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে- যথাযথ ট্রেনিং না থাকায় দক্ষ কাজের বদলে অদক্ষ কাজে যেতে হয়।
ফলে আয় কম, ঝুঁকি বেশি। এছাড়া ভুয়া রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণাও অব্যাহত। দেশে ফিরে আসার পর অধিকাংশই চাকরির সুযোগ পান না। এক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর বড় ধরনের বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় সোয়া কোটি অভিবাসী কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠিয়ে জাতীয় অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন। অভিবাসী খাতের রেমিট্যান্স আয়ের মাধ্যমেই দেশের রিজার্ভ মজবুত হচ্ছে। কূটনৈতিক উদ্যোগের অভাবে অভিবাসী খাতের স¤প্রসারণ থমকে দাঁড়িয়েছে। বন্ধ শ্রমবাজারগুলো পুনরুদ্ধারে নেই কোনো উদ্যোগ। ফলে সোর্সকান্ট্রিগুলো বাংলাদেশের ওপর থেকে ফিরিয়ে নিচ্ছে মুখ। দিন দিন হাতছাড়া হচ্ছে শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের দুয়ার বন্ধ। একমাত্র সৌদি আরবেই সবচেয়ে বেশি কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। তা’ও নতুন নতুন শর্তারোপের কারণে সৌদিতে কর্মী নিয়োগের গতিও হ্রাস পাচ্ছে। শ্রমবাজার দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বিদেশে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ এবং বিদেশগমনেচ্ছু কর্মীদের বহির্গমনে নানামুখী জটিলতা নিরসনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখছে। বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে দক্ষ জনবলের অভাবে শ্রমবাজার সম্প্রসারণে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। মিশনগুলোতে অধিকাংশ কর্মকর্তা অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছেন। বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকদের পাশাপাশি মিশনগুলোর লেবার কাউন্সেলররা শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে তৎপর হলে জনশক্তি রফতানিতে গতি ফিরে আসতো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে কর্মসংস্থানের সংখ্যা না বাড়লেও দিন দিন বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে।
বর্তমানে স্মরণকালের সবচেয়ে গভীর সংকটের মুখে জনশক্তি রফতানি খাত। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতায় দিন দিন বৈদেশিক শ্রমবাজার সংকুচিত হচ্ছে। বিদেশগামী কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যুতে নতুন নতুন শর্তাবলি চাপিয়ে দেওয়ায় কর্মী পাঠানোয় ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিভিন্ন মামলা, অভিযোগের দরুন বিএমইটিতে প্রায় ২০০ রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এসব লাইন্সের অধীনে হাজার হাজার বিদেশগমনেচ্ছু কর্মীর ভিসা প্রসেসিং কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। প্রতিদিন রিক্রুটিং এজেন্সির অফিসে ধরনা দিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছে না ভুক্তভোগী বিদেশগমনেচ্ছু কর্মীরা। ফলে এসব কর্মীর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, শ্রমবাজার সংকটের পেছনে যেসব কারণ কাজ করছে সেগুলো হলো- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাপ কমে যাওয়া, বৈশ্বিক মন্দা, রফতানি ওঠানামা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকট অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে। এছাড়া রয়েছে নতুন বিনিয়োগের অভাব। শিল্পে নতুন প্রকল্প কম। ফলে কাজও কম। দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল রাখতে না পারা। বিশ্বে প্রযুক্তির বদলে যাওয়া চাকরি কমিয়ে দিচ্ছে; কিন্তু নতুন ধরনের দক্ষতার শ্রমিক তৈরির উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। এছাড়া শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ কমে যাচ্ছে।
অনেকে চাকরি না পেয়ে চাকরি খোঁজা বন্ধ করে দিয়েছেন। নীতিগত অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় কোম্পানিগুলো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে সাহস পাচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রমবাজারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা- দুটিই প্রয়োজন। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য জরুরি প্রণোদনা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে সহজ শর্তে ঋণ, করছাড় এবং ব্যবসায়িক সহায়তা দিলে দ্রুত কাজের সুযোগ তৈরি হবে। দক্ষতা উন্নয়ন কাঠামো পুনর্গঠন করা জরুরি। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আধুনিকীকরণ করতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
নারীদের জন্য বিশেষ স্কিল-প্রোগ্রাম চালু করতে হবে। ডিজিটাল ও রিমোট কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। দেশে ফ্রিল্যান্সিং ও আইটিভিত্তিক সেবা বড় খাত হতে পারে।
শ্রমবাজার তথ্যব্যবস্থা উন্নত করা প্রয়োজন। যাতে চাকরির চাহিদা-সরবরাহ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে। প্রবাসী কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা, সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করা, বেকার ভাতা, প্রশিক্ষণ ভাতা এবং নিরাপদ নীতি প্রয়োজন।
শ্রমবাজার সংকট বাংলাদেশের জন্য এক গুরুতর সতর্কবার্তা। কর্মসংস্থানের ধাক্কা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে পারে। আর তার প্রভাব পড়বে সমাজের ওপরও। এখনই যদি বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া না হয়, দক্ষতা উন্নয়নে পরিবর্তন না আসে এবং শ্রমবাজারে স্বচ্ছতা না বাড়ে তাহলে যুবসমাজের অক্ষমতা, হতাশা এবং কর্মক্ষেত্রের সংকট আরও গভীর হবে। এমনটি আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। তাই দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন টেকসই করতে হলে শ্রমবাজারকে শক্তিশালী করা ছাড়া বিকল্প নেই।
এমএইচএস

