Logo

শিক্ষা

আজকের শিশু আগামী দিনের তরুণ

Icon

মোঃ রনি

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৫

আজকের শিশু আগামী দিনের তরুণ

শিশুর মাঝেই নিহিত আছে ভবিষ্যতের সকল সম্ভাবনা। ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে পালিত হওয়া তারুণ্যের উৎসবকে স্থায়ী ও টেকসই করতে চাইলে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে শিশুর দিকে, তার সকল সম্ভাবনাকে পূর্ণতা দেওয়ার দিকে। আজকের শিশুকে গড়ে তুলতে হবে ভবিষ্যতের উপযোগী করে।  সেজন্য একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজনীয় দক্ষতাসমূহ তাকে অর্জন করাতে হবে। শিশু যাতে সমালোচনামূলক চিন্তা (Critical Thinking) করতে শিখে। 

এর মাধ্যমে সমস্যা বিশ্লেষণ ও যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষমতা অর্জন করে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্তির প্রয়োগ করে। শিশু যাতে সৃজনশীল (Creative) হয়। উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে নতুন ধারণা তৈরি, সমস্যা সমাধানে অভিনব উপায় আবিষ্কার করতে পারে। যোগাযোগ দক্ষতা (Communication) একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা।

শিশুরা যাতে কথা ও লেখার মাধ্যমে স্পষ্টভাবে মত প্রকাশ করতে পারে, শ্রোতার উপযোগী করে নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে পারে সেদিকে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। শিশুরা যাতে সহযোগিতা NEVADA ও দলবদ্ধ কাজের দক্ষতা (Collaboration) অর্জন করে অন্যদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারে। আর সেই কাজ করতে গিয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা বজায় রাখে।

ভবিষ্যতের জন্য শিশুদের তৈরি করতে হলে তাদের ডিজিটাল সাক্ষরতা (Digital Literacy) অর্জন অপরিহার্য। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা ছাড়া তারা ভবিষ্যতের উপযোগী হবে না। সেক্ষেত্রে যেন তারা প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার করতে পারে এবং সেই সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তার ব্যাপারে সজাগ থাকে সেই দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে হবে।

এরই সাথে সম্পর্কযুক্ত আরেকটি প্রয়োজনীয় দক্ষতা হলো তথ্য ও মিডিয়া সাক্ষরতা (Information & Media Literacy) যার অর্থ তথ্য যাচাই করার ক্ষমতা, ভুয়া খবর ও গুজব চিনে নেওয়ার দক্ষতা। শিশুদের মাঝে জীবনব্যাপী শিখনের (Lifelong Learning) মানসিকতা তৈরি করতে হবে। 

নতুন কিছু শেখার আগ্রহ যাতে তাদের জীবনব্যাপী থাকে, তারা যাতে ক্রমাগত আত্মন্নয়নে উৎসাহী হয়। শিশুর মাঝে নেতৃত্বের (leadership) গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে হবে। সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রাখা এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা তাদের ভবিষ্যৎ পৃথিবীর নেতৃত্বদানে উপযোগী করে তুলবে। শিশুদের মাঝে আন্তর্জাতিক ও সাংস্কৃতিক সচেতনতা (Global & Cultural Awareness) বাড়াতে হবে যাতে তারা বিভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। সেই সাথে তাদের মাঝে বৈশ্বিক করতে হয় তা শেখাতে হবে। নাগরিকত্ব ও সহাবস্থানের চেতনা তৈরি হয়। 

এতসব দক্ষতার সাথে আরো লাগবে আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা (Emotional Intelligence)। নিজের আবেগ বুঝতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা। অন্যের আবেগ অনুধাবন করা ও সহানুভূতিশীল আচরণ করতে পারা। 

শিশুকে তৈরি করতে হবে অনুসন্ধিৎসু করে। সে শিখবে অনুসন্ধানের মাধ্যমে। সে সমস্যা চিহ্নিত করতে, অনুসন্ধানের মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধানের পথ আবিষ্কার করতে শিখবে। তাই তাকে সমাধান করে না দিয়ে কীভাবে সমাধান  করতে হয় তা শেখাতে হবে। নাগরিকত্ব ও সহাবস্থানের চেতনা তৈরি হয়। এতসব দক্ষতার সাথে আরো লাগবে আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা (Emotional Intelligence)। নিজের আবেগ বুঝতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা। 

অন্যের আবেগ অনুধাবন করা ও সহানুভূতিশীল আচরণ করতে পারা। শিশুকে তৈরি করতে হবে অনুসন্ধিৎসু করে। সে শিখবে অনুসন্ধানের মাধ্যমে। সে সমস্যা চিহ্নিত করতে, অনুসন্ধানের মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধানের পথ আবিষ্কার করতে শিখবে। তাই তাকে সমাধান করে না দিয়ে কীভাবে সমাধান শিশু বলতে চায়, তাকে বলতে দিতে হবে। 

শিশু নিজে সমাধান করতে চায়, তাকে সেই সুযোগ দিতে হবে। শিশুর মনে অনেক প্রশ্ন, সে প্রশ্ন করতে চায়, তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ দিতে হবে। সে যাতে নি:সংকোচে প্রশ্ন করতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ভীতিকর পরিবেশ শিশুর শিখনের উপযোগী নয়। শিশু যাতে শ্রেণিকক্ষে নিরাপদ বোধ করে, সে আগামীর তরুণ যারা ভবিষ্যৎ দেশ ও পৃথিবীর নেতৃত্ব দিবে। সেরকম পরিবেশ তৈরি করা শিক্ষকের কাজ। মনে রাখতে হবে আজকের শিশু আগামীর তরুণ যারা ভবিষ্যৎ দেশ ও পৃথিবীর নেতৃত্ব দিবে।

প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা, নেপ

বিশেষজ্ঞ, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি

বিকেপি/এনএ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

প্রাথমিক শিক্ষা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর