Logo

বিনোদন

নির্মাতাকে হয়রানি : বিএফডিসি’র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসততার অভিযোগ

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৬

নির্মাতাকে হয়রানি : বিএফডিসি’র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসততার অভিযোগ

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা বিপ্লব কুমার পাল বিপু, যিনি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের স্বল্পদৈর্ঘ্য শাখায় একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান পেয়েছেন। তার চলচ্চিত্রটির নাম ‘লোকনাট্য প্রসঙ্গ ও ধামের গান’। 

জুলাই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সময়েই নতুন কমিটি কর্তৃক পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্রটির অবলোকন সম্পন্ন হয়। মন্ত্রণালয়ের সকল কার্যক্রম শেষে এখন সেন্সর সার্টিফিকেট প্রাপ্তির জন্য প্রস্তুত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। কিন্তু এর পূর্বে বিএফডিসির সাথে কোনো অর্থনৈতিক বাকি বকেয়া আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দেয়ার জন্য বিএফডিসি হতে একটা এনওসি অর্থাৎ নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে হয়। 

মূলত (সকল কাগজপত্র সঠিক থাকা ও কোনো প্রকার দেনা পাওনা না থাকার পরেও) পরিচালক বিপু এনওসি পেতে বিড়ম্বনার শিকার হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। 

তার অভিযোগ, বিএফডিসির এক অসৎ কর্মকর্তা তাকে নিয়মিতভাবে হয়রানি করছেন এবং একটা পর্যায়ে পরিচালকের কাছে সেই অসৎ কর্মকর্তা তার চলচ্চিত্রটিতে বঙ্গবন্ধুর কোনো কিছু আছে কিনা তা দেখার জন্য পেনড্রাইভ চেয়ে বসেন। এতে পরিচালক জানান চলচ্চিত্রটি ইতোপূর্বে মন্ত্রণালয় হতে পূর্ণাঙ্গ অবলোকন হয়ে এসেছে তাও আবার জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের সময়ে, তথাপি যদি আবারও কোনো অসঙ্গতি থাকে তাহলে তা দেখবে সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড, বিএফডিসি'র সেই কর্মকর্তার কোনো এখতিয়ার নেই পেনড্রাইভ ঘেটে বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে দেখার। উল্লেখ্য ছবিটি কোনো প্রোপাগান্ডা ছবি নয়, লোকনাট্যের উপর সাধারণ একটি প্রামাণ্যচিত্র।

বিপু জানান, তার নির্মিত চলচ্চিত্রটি ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অফিসিয়াল সিলেকশন পেয়েছে, এখন এর মধ্যে সেন্সর সার্টিফিকেট না পেলে ছবিটির ফেস্টিভ্যাল জার্নির শুরুতেই স্ক্রিনিং করতে না পারার শঙ্কায় আছে। বিষয়টি বিএফডিসি’র এমডিকে জানাতে গেলে অসৎ কর্মকর্তাদের একজন এমডিকেও উপেক্ষা করে অনধিকার চর্চা করে তার উপর অযথা চাপ সৃষ্টি করেছে, যা তার পেশাগত কাজের জন্য ক্ষতিকর।

বিপু বলেন, ‘আমার মতো আরো অনেক নির্মাতাই এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিএফডিসি’তে অনেক সময় এমন অসৎ কর্মকর্তা কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে যা সকল শিল্পের সমন্বয় চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য ক্ষতিকর এবং এর বিরুদ্ধে কিছু করতে হবে।’

বিপু বিশ্বাস করেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই ধরনের অনৈতিক আচরণের অবসান ঘটানো সম্ভব হবে। তিনি এই বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে বিএফডিসি’র এমডি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, এবং জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিএফডিসি’তে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটু সুন্দর ও সুস্থ পরিবেশ তৈরি করার জন্য অনুরোধ জানাবেন।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বিনোদন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর