ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামে টানা ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে গত এক সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন। তাদের সন্ধানে উদ্ধারকারী দলগুলো তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ বিভাগ।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃষ্টিপাতে বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বহু মানুষ ঘরের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা নৌকা নিয়ে তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন। গত তিন দিনে মধ্য ভিয়েতনামের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ১৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে— যা সেখানে বিরল। এই অঞ্চলটি গুরুত্বপূর্ণ কফি উৎপাদন এলাকা এবং দেশের জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকতগুলোর অন্যতম কেন্দ্র।
স্থানীয় গণমাধ্যম ভিএন এক্সপ্রেস জানিয়েছে, প্লাবনে ৫২ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডুবে গেছে হাজার হাজার হেক্টর ফসল, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ডাক লাক প্রদেশে ১৬ জন এবং খান হোয়া প্রদেশে ১৪ জন।
প্রচণ্ড আবহাওয়ার কারণে শুরুতে ১০ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়লেও পরে প্রায় ৬ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হয়েছে। বন্যার পাশাপাশি প্রাদেশিক সড়কগুলোতে ১৪০টিরও বেশি ভূমিধস হয়েছে, যা সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাজার হাজার কর্মী ও পুলিশ মাঠে রয়েছে।
জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানায়, অক্টোবরের শেষ দিক থেকে দক্ষিণ–মধ্য ভিয়েতনামে অস্বাভাবিকভাবে বৃষ্টি বাড়ছে। ঐতিহাসিক শহর ও উপকূলীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোও একাধিকবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডাক লাকের পার্বত্য এলাকায় কোথাও কোথাও ৬০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

ভিয়েতনামের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটিতে কমপক্ষে ২৭৯ জন নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন এবং ক্ষতির পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
সূত্র : আল জাজিরা
এমএইচএস

