ওসমান হাদি হত্যার মূল ২ আসামি ভারতে পালিয়েছেন : ডিএমপি
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৬
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের দুই প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় তারা সীমান্ত পার হয়েছেন। ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের মেঘালয় পুলিশ। এছাড়া আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে হাদি হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলার চার্জশিট দিবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মামলাটি বর্তমান ডিবিতে তদন্তাধীন আছে।
ভারতে গ্রেপ্তার দুজন হলেন, সিএনজি চালক পুত্তি ও শামি।
ঘটনার পরপরই সিসিটিভি ভিডিও বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হাদিকে গুলি করা ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাকে সহায়তাকারী মোটরসাইকেল চালক আলমগীর শেখকে শনাক্ত করে পুলিশ। যারা সীমান্ত পার হয়ে ভারতে চলে যাওয়ার জোর গুঞ্জন শোনা গেলেও এতোদিন সংশ্লিষ্টদের তরফে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি। তবে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল জানালেন ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত হওয়ায় আসামিদের ‘শনাক্ত করার আগেই’ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে দেশ ছেড়েছেন।
তিনি বলেন, ফয়সাল ও আলমগীর প্রথমে ঢাকা থেকে সিএনজিতে করে আমিনবাজারে যায়। সেখান থেকে মানিকগঞ্জের কালামপুরে ও পরে প্রাইভেটকারে করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পৌঁছায়। সেখানে ফিলিপ নামে একজন তাদেরকে সীমান্ত পার করে পুত্তির নামে একজনের কাছে হস্তান্তর করে। তারপর তিনি ট্যাক্সি ড্রাইভার সামি নামে একজনের কাছে দেওয়া হয়। সামি তাদেরকে মেঘালয়ের তুরা নামক শহরে পৌঁছে দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল বলেন, ইনফরমাল চ্যানেলে আমরা মেঘালয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, সেখানে তারা পুত্তির ও সামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এখন পর্যন্ত হাদি হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় গত ১২ই ডিসেম্বর ঢাকার বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সিঙ্গাপুরে মারা যান।
আইএইচ/

