শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০০
ছবি : সংগৃহীত
সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
দিনের শুরুতে দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও বিমানঘাঁটির মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের কল্যাণ, সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতি কামনা করা হয়।
রাষ্ট্রপতির বাণীতে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দেশের গর্ব ও আস্থার প্রতীক। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেমন তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তেমনি ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানোসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় বাহিনীর ভূমিকা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অবদান দেশের মর্যাদা আরও উঁচু করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তার বাণীতে স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণ করে বলেন, গত ১৫ মাসে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রদান এবং অস্ত্র উদ্ধারসহ নানা ক্ষেত্রে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাহিনীর সদস্যরা জনগণের সঙ্গে একত্রে থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবেন।
এদিকে দিবস উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাহিনীপ্রধান শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বাহিনী প্রধানরা পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
দিবস উপলক্ষে আজ আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে নির্বাচিত ১০১ জন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। বিকেল ৪টায় সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান বিচারপতি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও উপদেষ্টারা, বিদেশি কূটনীতিক, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক-বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে।
এমএইচএস

