ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, মালামাল ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ইসি। ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

চিঠিতে বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব কার্যালয়ে নির্বাচন-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, যন্ত্রপাতি ও মালামাল সংরক্ষিত থাকায় নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি।

ইসি সূত্র জানায়, বর্তমানে সারাদেশে ৬৯ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রায় পাঁচশ’ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনসহ দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে সিইসির জন্য অতিরিক্ত একটি গাড়িসহ বাড়তি পুলিশি এসকর্ট চাওয়া হয়েছে। চার কমিশনার ও সিনিয়র সচিবের বাসভবন ও অফিসে যাতায়াতের সময় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। ২১ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। নির্বাচনী প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।

এসআইবি/এমবি