নির্বাচন ও গণভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ পরিপত্র জারি
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করতে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় মোতায়েন রয়েছে, যা নির্বাচনকালেও বহাল থাকবে। সরকার সামরিক বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে, যা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে জন্য ভোটকেন্দ্র, নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র, নির্বাচনী সামগ্রী ও ব্যালট পরিবহনসহ সব পর্যায়ে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। একই সঙ্গে গুজব ও অপতথ্য রোধ, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আহত, বয়স্ক ও অসুস্থ ভোটারদের জন্য সহনীয় পরিবেশ তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনায় নির্বাচন কমিশনে একটি সমন্বয় সেল কাজ করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিড মন্ত্রণালয় হিসেবে নির্বাচন-পূর্ব ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পরিকল্পনা, সমন্বয় ও তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও নির্বাচনী আসন পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাধ্যমে পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ রয়েছে।
সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সিসিটিভি কভারেজ এবং মাঠে ব্যবহৃত বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরার লাইভ ফিড নির্বাচন কমিশনের সমন্বয় সেলে প্রদর্শনের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।
পরিপত্র অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন-পরবর্তী সময় পর্যন্ত স্বাভাবিক মোতায়েন চলবে। নির্বাচনকালীন সময়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ছাড়া অন্যান্য বাহিনী ৫ দিন এবং আনসার সদস্যরা ৬ দিন মোতায়েন থাকবেন। এ জন্য কমিশন প্রচলিত নিয়মে বাজেট বরাদ্দ দেবে।
এছাড়া অপতথ্য ও গুজব মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশনে একটি আইনশৃঙ্খলা ও অপতথ্য মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। যেখানে কমিশন, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা কাজ করবেন।
এসআইবি/এমবি

