ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার ও বাংলাদেশকে ‘ভারতীয় প্রভাব’ থেকে মুক্ত করার দাবিতে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে একযোগে অবরোধ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। তিনি জানান, রোববার দুপুর ২টা থেকে আট বিভাগীয় শহরে একযোগে এ অবরোধ চলবে।
শাহবাগে সমবেত সমর্থকদের উদ্দেশে আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, যারা আজ এসেছেন, তারা যেন আগামীকালও শাহবাগে এসে দাঁড়ান এবং ইনসাফের এই লড়াই চালিয়ে যান। তিনি সতর্ক করে বলেন, কোনো প্ররোচণায় বা কারও প্রয়োজনে এই অবরোধ তুলে নেওয়া যাবে না।
আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, এই অবরোধ শুধু হাদি হত্যার বিচারের জন্য নয়, বরং এটি ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার অবরোধ। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হাদি হত্যার বিচারের ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন, তবে আমরা তাকেও মানব না। তিনি আরও জানান, ইনসাফের লড়াইয়ে তারা কোনো উপদেষ্টার সঙ্গে কোনো ধরনের আপোসে যাবেন না।
কিছু গণমাধ্যমের প্রচারণার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অনেক মিডিয়া বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে— আমরা ‘যমুনা ভবন ঘেরাও’ করতে যাচ্ছি, যা এক ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম। তিনি অনুসারীদের নির্দেশ দেন, ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল পেজ থেকে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কোনো সংবাদমাধ্যমের খবরের ওপর ভরসা করবেন না।
আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেন, গত কয়েক দিন ধরে তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হলেও তারা মৃত্যুকে ভয় করেন না এবং ‘শাহাদাতের তামান্না’ নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি উপস্থিত জনতাকে প্রশ্ন করেন, আমরা যদি শহীদ হয়ে যাই, আপনারা কি ইনসাফের এই লড়াই থামাবেন? উপস্থিত ছাত্রজনতা ‘না’ বললে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নেন।
এমবি

