রাশেদ খাঁন
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ভাঙলে ভারতীয় আধিপত্য ফেরার শঙ্কা তৈরি হবে’
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩
ছবি : বাংলাদেশের খবর
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য বিনষ্ট হলে আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ ফেরার আশঙ্কা তৈরি হবে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদসহ যে দলগুলো অংশ নিয়েছিল, তাদের ঐক্যের বিকল্প নেই।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আমরা যারা গত ষোলো বছর ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করেছি, সেই কঠিন দিনগুলো ভুলে গেলে চলবে না। ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বিনষ্ট হলে সেই আন্দোলনের সাফল্যও ব্যর্থতায় পরিণত হবে।’
জাতীয় সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেশ এখন নির্বাচনী ট্রেনে উঠেছে। বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলনসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা দীর্ঘদিন জেল-জুলুম সহ্য করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করেছেন। আগামী নির্বাচনে যে দলই বিজয়ী হোক, আমরা জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছি। এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
ঝিনাইদহ-২ আসন প্রসঙ্গে রাশেদ খাঁন বলেন, ‘এই আসনে যিনিই নির্বাচন করুন না কেন, তার জন্য আমার শুভকামনা। প্রতিটি দল তাদের রাজনীতি করুক, তবে অন্য দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেওয়া উচিত নয়। এতে সংঘাত সৃষ্টি হবে, আর সেই সংঘাত আওয়ামী লীগের ফেরার পথকে সহজ করবে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যুগপৎ আন্দোলনের সহযোদ্ধাদের জন্য বিএনপি তাদের নীতিমালা অনুসারে কাজ করছে। বিভিন্ন আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী দেয়নি—ঝিনাইদহ-২ আসন তারই একটি উদাহরণ। তবে এই আসনে আমাকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেওয়া হয়নি; বিষয়টি নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডে আলোচনা চলছে।’
এর আগে বিকেল ৪টায় হলিধানী বাজারে গণসংযোগ করেন রাশেদ খাঁন। গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিহান হোসেন রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
এম বুরহান উদ্দীন/এআরএস

