ঘোষিত সময়ে নির্বাচন ও আচরণবিধির সমান প্রয়োগ চায় এনসিপি
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:০৭
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ঘোষিত আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখ পেছানো যাবে না—এমন দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একই সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমানভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন–এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এ সময় দলের যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মূসাসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দেশে বর্তমানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সামনে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে, পাশাপাশি একটি হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়াও এখনো শেষ হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন পেছানোর নানা প্রচেষ্টা হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছি—১২ ফেব্রুয়ারির যে তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, সে তারিখেই যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এনসিপির এই মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের জানিয়েছে যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা কমিশনের রয়েছে।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন উপায়ে এবং ভারত–বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান জানতে চাইলে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা, গণভোটের প্রচারণা পর্যাপ্ত না হওয়া এবং ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়েও আলোচনা হয়।
আচরণবিধি লঙ্ঘনে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি
বৈঠক প্রসঙ্গে যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রার্থী ও দলের আচরণবিধি প্রতিপালন, লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রতিকার, প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন এবং গণভোটের বিষয়।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর আগাম প্রচার সামগ্রী অপসারণে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন। তবে বড় রাজনৈতিক দলের অনেক প্রার্থী এখনো সব পোস্টার অপসারণ করেননি এবং কোথাও কোথাও নতুন করে পোস্টার লাগানো হচ্ছে—এ বিষয়টি কমিশনের নজরে আনা হয়েছে।
জহিরুল ইসলাম মূসা জানান, কমিশন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এনসিপির পক্ষ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দ্রুত গ্রহণ ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি হটলাইন বা বিশেষ ব্যবস্থাপনা চালুর অনুরোধ জানানো হয়। পাশাপাশি গণভোটে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ব্যাপক প্রচারণার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এসআইবি/আইএইচ

