Logo

রাজনীতি

জামায়াতের সাথে জোটে আপত্তি জানিয়েছেন এনসিপির ৩০ নেতা

নাহিদ ইসলামকে চিঠি

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৩৬

জামায়াতের সাথে জোটে আপত্তি জানিয়েছেন এনসিপির ৩০ নেতা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন নেতা জামায়াতে ইসলামীসহ ৮–দলীয় জোটের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট বা আসন সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। 

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে লেখা চিঠিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন চিঠির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে নেতারা উল্লেখ করেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বিগত এক বছর ধরে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বিভাজনমূলক কর্মকাণ্ড, অন্যান্য দলের মধ্যে গুপ্তচরবৃত্তি, এনসিপির ওপর দায় চাপানো, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার, নারী সদস্যদের চরিত্রহন এবং ধর্মকে কেন্দ্র করে সামাজিক ফ্যাসিবাদের উত্থান’ দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত হিসেবে কাজ করছে।

নেতারা আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা, গণহত্যায় সহযোগিতা এবং বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল। এই অবস্থান বাংলাদেশি গণতান্ত্রিক চেতনা ও এনসিপির মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একাধিকবার ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রায় দেড় হাজার মনোনয়নপত্র বিক্রি করে ১২৫ জন প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। এখন অল্প কিছু আসনের জন্য কোনো জোটে যাওয়া জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল। 

এনসিপির নেতারা আরও বলেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত আশঙ্কার সাথে লক্ষ করেছি, যখনই এই জোটের সম্ভাবনার খবর গণমাধ্যমের মাধ্যমে সামনে এসেছে, এর পরপরই আমাদের সমর্থনে থাকা কর্মী-সংগঠকসহ একটা বড়সংখ্যক মানুষ আমাদের দলের প্রতি তাঁদের সমর্থন সরিয়ে নিতে উদ্যত হয়েছেন। যদি আমাদের সমর্থন করা মধ্যপন্থী এবং নতুন রাজনীতি প্রত্যাশা করা মানুষেরা সমর্থন সরিয়ে নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে পার্টির মধ্যপন্থী সমর্থক ভিত্তি হারাব।’

এনসিপির নেতারা চিঠিতে স্পষ্টভাবে দাবি করেছেন, ‘নীতিগত অবস্থানকে অক্ষুণ্ণ রেখে কৌশল নির্ধারণ করা উচিত; কৌশলগত কারণে নীতিগত অবস্থান বিসর্জন দেওয়া উচিত নয়।’

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, ফরিদুল হক, মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া এবং ইমন সৈয়দ। কেন্দ্রীয় সংগঠক আরমান হোসাইন, যুগ্ম আহ্বায়ক অর্পিতা শ্যামা দেব, নুসরাত তাবাসসুম এবং খালেদ সাইফুল্লাহ।

আরও আছেন, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মো. শওকত আলী, মো. ওয়াহিদ উজ জামান, নফিউল ইসলাম, হামযা ইবনে মাহবুব, নয়ন আহামেদ ও আসাদ বিন রনি।  উত্তরাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, যিনি একই সঙ্গে জাতীয় যুবশক্তির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

স্বাক্ষর করেছেন, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ্, খান মো. মুরসালীন, মো. সাদ্দাম হোসেন এবং আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল; যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা ও ইমন সৈয়দ; কেন্দ্রীয় সদস্য জাওয়াদুল করিম, তারিক আদনান মুন, মো. ইমরান হোসেন, তাওহীদ তানজীম, মাহবুব এ খোদা, সৈয়দা নীলিমা দোলা, সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ, খালিদ সাইফুল্লাহ জুয়েল এবং রফিকুল ইসলাম আইনী।

এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জাতীয় নাগরিক পার্টি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর