Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

দেশে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা এখন কওমি

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ০৯:৪৬

দেশে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা এখন কওমি

পাল্টাপাল্টি হামলায় বাড়ছে আতঙ্ক
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে দুই দেশের নাগরিকদের মাঝে। এরই মধ্যে বেসামরিকদের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ভারত-পাকিস্তানসহ ইন্দো এশিয়ার সব বিমানবন্দর। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দুই দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালত।

এদিকে ভারতের জনসাধারণ যুদ্ধ নয় শান্তি চায়। তারা এই অঞ্চলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার হুমকিতে ফেলে, এমন রাজনৈতিক নেতাদের যুদ্ধবাজ মনোভাবকে প্রত্যাখ্যান করে। বুধবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ভিত্তিক বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) এক বিবৃতিতে এই কথা বলেছে।

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ 'অপারেশন সিন্দুর' শুরু করেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমগুলোকে ব্যাপক সরব হতে দেখা যাচ্ছে। আলোচনা-সমালোচনা ও অনেক দেশের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে 'দুঃখ' ও 'উদ্বেগ' প্রকাশ করেছে চীন। এই পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ায় চাল আমদানি ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটি।

দেশে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা এখন কওমি
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা হলো কওমি মাদ্রাসা।

দরিদ্রতার কারণে অনেক পরিবার সন্তানদের সাধারণ স্কুলের বদলে কওমি মাদ্রাসায় পাঠাচ্ছে, কারণ এখানে বিনামূল্যে বা কম খরচে পড়ার সুযোগ থাকে এবং আবাসিক ব্যবস্থাও রয়েছে।

বেফাক নামক কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত তিন বছরে ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। শুধু বেফাক নয়, অন্যান্য বোর্ডগুলোর অধীনেও মাদ্রাসা ও শিক্ষার্থী বাড়ছে।

এদের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান শহরের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে চালানো হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষার্থী কমছে, বিপরীতে কওমি মাদ্রাসায় বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দরিদ্রতা, ধর্মীয় মনোভাব ও সাধারণ শিক্ষার মান ও মনিটরিং ঘাটতির কারণে মানুষ কওমি মাদ্রাসার দিকে ঝুঁকছে। তবে এ শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো সরকারি মনিটরিংয়ের বাইরে। সরকার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমতুল্য স্বীকৃতি দিলেও চাকরি বা উচ্চশিক্ষায় কওমি শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে থাকছে।

শিক্ষাবিদরা মনে করেন, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে মানসম্মত ও উপযোগী করে তুলতে সরকারি নীতিমালার আওতায় আনা জরুরি। এতে শিক্ষার্থীরা দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারবে। সেই সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার পরিবেশ, তথ্য ও কারিকুলাম নিয়ে একটি সুস্পষ্ট জরিপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায় দুই দেশের মানুষ
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী মানুষের দিন কাটছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। বিশেষ করে কাশ্মীরের দুই অংশের মানুষ রয়েছে ব্যাপক আতঙ্কে। উপত্যকার ভারতীয় অংশে পুঞ্চ ছেড়ে এরই মধ্যে কয়েকশ মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। 

যে কোনো হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে কয়েকটি রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ করে পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীরসহ বিভিন্ন রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে সন্ধ্যার পর ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে। কোথাও কোথাও সাইরেন বাজিয়ে চলছে প্রস্তুতি।

আগামী রোববার হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) একটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়েছে। ভারতের ড্রোনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম। সেখানে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) গতকালের ম্যাচটি করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলের তৈরি ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের তৈরি ২৫টি ভারতীয় ড্রোন’ তারা ভূপাতিত করেছে। 

ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের এক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও চার সেনা আহত হন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, সফট-কিল ও হার্ড-কিল পদ্ধতিতে ইসরায়েলের তৈরি এসব ‘হেরোপ ড্রোন’ ভূপাতিত করা হয়েছে। এগুলোর ধ্বংসাবশেষ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সফট-কিল পদ্ধতি বলতে কারিগরি ও হার্ড-কিল বলতে অস্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার দাবি করেছেন, ভারতের হামলার পর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় তারা যে গোলাবর্ষণ করেছেন, তাতে ভারতের ৪০ থেকে ৫০ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।

'Yunus under criticism over privileges' অর্থাৎ 'সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সমালোচনার মুখে ইউনূস সমালোচনার মুখে ইউনূস'
নিউ এইজে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকাকালীন বিশেষ সুবিধা নেয়ায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

২০২৪ সালের ৮ই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন। এরপর তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ গ্রুপের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দ্রুত সরকারি অনুমোদন ও বিশেষ সুবিধা পায়।

এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা শহরে গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির অনুমোদন, গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেসের জনশক্তি রপ্তানির লাইসেন্স, গ্রামীণ টেলিকমের ডিজিটাল ওয়ালেট চালুর অনুমতি। সেইসাথে আছে, গ্রামীণ ব্যাংকের কর মওকুফ ও সরকারিভাবে ব্যাংকে শেয়ারের পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে থাকা শ্রম আইন লঙ্ঘন ও অর্থপাচারের মামলা দ্রুত খারিজ হয়ে যাওয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, এভাবে নিজ প্রতিষ্ঠানের সুবিধা পাওয়া এবং মামলা খারিজ হওয়া স্বার্থের সংঘর্ষ তৈরি করে এবং জনআস্থা হারানোর ঝুঁকি বাড়ায়।

ইউনূসপন্থীরা দাবি করছেন, এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আগে আটকে ছিল, এখন নিয়ম মেনেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন মহল মনে করছে, প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়টি খোলাসা না হওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আবার পাল্টাপাল্টি হামলা
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ২২শে এপ্রিল কাশ্মীরের হেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে।

ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। এরপর ভারত 'অপারেশন সিঁন্দুর' নামে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অভিযান চালায়, আর পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে।

পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষই ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করছে। জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন। দুই দেশের বিমানবন্দর ও হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে এবং শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

ভারতের ২০টির বেশি বিমানবন্দর ও পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভারতের বিরোধী দলগুলো সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় হামলায় ৩২ জন নিহত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক নেতারা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইরান ও সৌদি আরব, দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালাও যুদ্ধ থামানোর অনুরোধ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে, আর এর প্রভাব সীমান্ত ছাড়িয়ে পুরো অঞ্চলে পড়তে পারে। শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব এখন দুই দেশের নেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর।

রাতভর যমুনার সামনে বিক্ষোভ
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ছাত্র-জনতা ও ছাত্রশিবিরসহ কয়েকটি সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভে বসে।

তারা জানায়, গণহত্যা, ছাত্রদের ওপর হামলা ও উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আওয়ামী লীগ ও তার কিছু সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং প্রয়োজনীয় আইন দেশের মধ্যে আছে।

এর মধ্যেই যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে বলেন, আগে মূল দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে পারবে না এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বে না।

যমুনার সামনে রাতভর অবস্থান চলাকালে তারা আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং সামাজিক মাধ্যমে সবাইকে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রাখে এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। আন্দোলনকারীদের দাবি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ ও নিশ্চিহ্ন করতে হবে এবং গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আবদুল হামিদের দেশত্যাগে আবারও ‘চাপে’ রাষ্ট্রপতি
দেশ রূপান্তেরর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশত্যাগ করায় দেশজুড়ে নতুন করে তীব্র বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দল এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে দায়ী করে তার অপসারণের দাবি জানিয়েছে।অভিযোগ উঠেছে, রাষ্ট্রপতির অফিসের ফোনকলের পরই আবদুল হামিদকে বিমানবন্দর থেকে যেতে দেওয়া হয়।

এনসিপিসহ কয়েকটি দল ও শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে ঢাকায় বিক্ষোভ করে এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে প্রতিবাদ জানায়।সরকার দাবি করেছে, যারা আবদুল হামিদের দেশত্যাগে সহায়তা করেছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার ও বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে।

আবার কেউ কেউ বলছেন, রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাওয়া মূলত রাজনৈতিক সংকট তৈরি এবং নির্বাচন বিলম্বের কৌশল। গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে থাকলেও আবদুল হামিদ এতদিন দেশে ছিলেন।

অবশেষে তিনি পরিবারসহ ব্যাংকক পাড়ি জমান। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও কোনো সংস্থার কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় তিনি বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। এখন এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চাপে রয়েছেন।

ইমেজ উদ্ধারে কূটনৈতিক তৎপরতা জামায়াতের
মানবজমিনে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন সামনে রেখে তাদের ইমেজ পুনরুদ্ধার ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে।

গত নয় মাসে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অন্তত ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমীরসহ শীর্ষ নেতারা ইউরোপ, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন।

এসব সফর ও বৈঠকে দলটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়েছিল, তার বিপরীতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছে।

চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, ইরান, সৌদি আরব, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক জামায়াত কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠক করেছেন।

এমনকি জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গেও জামায়াত নেতাদের বৈঠক হয়েছে। দলের নেতারা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগ জামায়াতের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে এবং দলটির কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছিল।

তবে বর্তমানে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্র উন্মুক্ত হওয়ায় তারা আবারও সক্রিয় হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে। তারা বলছে, বিদেশি বন্ধুদের কাছ থেকে ইতিবাচক বার্তা পাচ্ছে এবং এই কূটনৈতিক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলবে।

রাখাইনে মানবিক করিডোরের সাথে চীন জড়িত নয় : রাষ্ট্রদূত ওয়েন
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে যে মানবিক করিডোর চালু হয়েছে, তাতে চীনের কোনো ভূমিকা নেই। এটি জাতিসংঘের উদ্যোগ, চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করবে। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে তিনি জানান, চীন প্রস্তুত আছে, এখন বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিলেই প্রকল্প শুরু করা সম্ভব। এটি তিস্তা পাড়ের মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে। প্রকল্পটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা একান্তই বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার এবং উভয় দেশের উচিত উত্তেজনা কমানো। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক অস্থিরতার মধ্যেও চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, চীন সবসময় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বতন্ত্র উন্নয়নের পথে সমর্থন দিয়ে এসেছে। একইভাবে বাংলাদেশও 'একচীন নীতি' মেনে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। এই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমতা ভবিষ্যতেও সম্পর্ক দৃঢ় রাখবে।

জিও নিউজ জানায়, গতকাল পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন। তবে ভারত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

  • এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর