Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:২১

ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!

বাংলাদেশের খবর
পরিবর্তনের ধারায় দেশ
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চব্বিশের জুলাই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। ৩৬ দিনের রক্তক্ষয়ী এই আন্দোলন শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে, দেশে নতুন এক যুগের সূচনা করেছিল। কিন্তু এক বছর পর প্রশ্ন উঠছে- এই পরিবর্তন কতটা টেকসই হয়েছে? কতটা বদলেছে সাধারণ মানুষের জীবন? বিশ্লেষকরা বলছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশকে স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত করলেও, নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ এখনো অসম্পূর্ণ। এক বছর পরেও দেশ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। সরকারের সামনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। চ্যালেঞ্জ তিনটি হলো-স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ও জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা। তবে আশার কথা হলো- যে প্রজন্ম এই পরিবর্তন এনেছে, তারা এখনো সক্রিয়। তাদের জাগরণই নিশ্চিত করবে এই পরিবর্তন যেন টেকসই হয়।

খুব ছোট্ট একটি দাবি নিয়েই নতুন বাংলাদেশ গড়ার সূচনা হয় ঠিক এক বছর আগে। চব্বিশের ওই দিনে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ। কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছিল, যার চূড়ান্ত পরিণতিতে পতন ঘটেছিল প্রায় ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারের।

বণিক বার্তা
আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে কমিটিও পূর্বের পথেই হাঁটছে
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিগুলোর একটি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৬ সালে সংঘটিত এ সাইবার চুরির ঘটনা গোটা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। বহুল আলোচিত এ ঘটনার আট বছরেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি শেখ হাসিনা সরকার। উল্টো প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে তদন্তের গতিপথ বদলে দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে। তদন্ত ও বিচারের আওতায় আসবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অপরাধীরা। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পার হতে চললেও এ বিষয়ে এখনো কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি। চলতি বছরের ৩ মার্চ এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি গঠন হলেও সেটি কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। ছয় সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের ওই কমিটির দায়িত্ব ছিল তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ দেয়ার। চার মাস পেরোলেও রিজার্ভ চুরির রহস্য উদ্ঘাটনে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতিই হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০০ কোটি ডলার চুরির চেষ্টা চালানো হয় ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করতে সক্ষমও হয় অপরাধীরা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে একটি কমিটি করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ওই বছরেরই ২০ মার্চ কাজ শুরু করে। পরবর্তী সময়ে একই বছরের ৩০ মে তিনি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

অস্থিরতা ছিল চরমে। দিক নির্দেশনা ছিল অনুপস্থিত। যার জেরে ৮ মাসের মাথায় পররাষ্ট্র সচিব পদে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার অনেকটাই বাধ্য হয় ওই রদবদলে। নীতিনির্ধারকদের ওপর চাপ ছিল প্রচণ্ড। সেটি সামাল দিতে চটজলদি ঢাকায় ফেরানো হয় নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামকে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। ৬ মাস আগে অস্ট্রিয়া থেকে মার্কিন মুল্লুকে যান। যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বভার ত্যাগ করে তিনি ২০শে জুন ঢাকায় ফিরেন। তার যোগদানে সেগুনবাগিচায় খানিকটা স্বস্তি এসেছে। তবে মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম এখনো গতিহীন! 

মানবজিমন
ঢাকার বিদেশ মন্ত্রণালয় কার্যত অভিভাবক শূন্য
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ওয়াকিবহাল সূত্র মতে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান ‘ফোকাল পয়েন্ট’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিলিটারি ডিক্টেটর ছাড়া সব আমলেই মোটামুটি গুরুত্ব পেয়েছে স্পেশালাইজড ওই মন্ত্রণালয়। অভিযোগ উঠেছে- সাম্প্রতিক সময়ে এটি অনেকটাই গুরুত্বহীন! ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকা পেশাদার কূটনীতিকরা বলছেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন কার্যত অভিভাবকশূন্য, লক্ষ্যহীন। তাদের ভাষ্যটি এমন- ‘আমাদের অনেক বস রয়েছেন। কিন্তু আমাদের কোনো অভিভাবক নেই।’ 

অনেক বিষয়ে অস্পষ্টতা পরিলক্ষিত হচ্ছে দাবি করে এক কর্মকর্তা মানবজমিনের সঙ্গে আলাপে বলেন- যুদ্ধ-সংঘাতসহ দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক রাজনীতির মেরূকরণে বাংলাদেশের করণীয় কী? সে সম্পর্কে ক্লিয়ার নির্দেশনা নেই। উদাহরণ টেনে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘৩৬ জুলাই’র রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যারা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন তারা ‘তালগোল’ পাকিয়ে ফেলেছেন। গত সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেয়া বহুল আলোচিত পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। দফায় দফায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে নাটকীয়ভাবে সেই ক্রুশিয়াল মুমেন্টে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব আসে চাকরির ২৭ দিন বাকি থাকা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রুহুল আলম সিদ্দিকীর ঘাড়ে। অভিমানী জসীম উদ্দিন উত্তরসূরিকে দায়িত্ব যথাযথভাবে বুঝিয়ে না দিয়েই এক সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় ছেড়ে যান। আগেই তিনি তার দেড় মাসের ছুটির আবেদনে অনুমোদন নেন। তার অস্বাভাবিক বিদায়ের ক’ঘণ্টার মাথায় পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্র চলে যান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মন্ত্রণালয়ের প্রতি কোনো নির্দেশনা ছাড়াই তিনি ওয়াশিংটনগামী বিমানে চেপে বসেন।  যা ছিল অস্বাভাবিক এবং নজিরবিহীন ঘটনা।

উপদেষ্টার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে অনেক ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে দু’টি ঘটনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক. প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৃটেন সফর। দুই. চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নজিরবিহীন (ত্রিপক্ষীয়) বৈঠক। অবসরোত্তর ছুটি শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মিস্টার সিদ্দিকীকে অনেকটা তড়িঘড়ি করে কুনমিং পাঠানো হয়। সেখানে ছিল একগাদা মিটিং। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল ১৯শে জুন বৃহস্পতিবার কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তান ত্রিদেশীয় বৈঠক। সূত্র এটা নিশ্চিত করেছে যে, বৈঠকটিতে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের যোগদান বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা ছিল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের। বিষয়টি কমিউনিকেট করেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা। বিদেশে থাকা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ওই উদ্যোগের বিষয়ে জানতেন। তবে তিনি রহস্যজনকভাবে এ নিয়ে নীরবতা পালন করেন। অথচ এটি ছিল একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত। 

দেশ রূপান্তর
অরক্ষিত উপকূলে শঙ্কায় লাখো মানুষ
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাঁধের অভাব, অপ্রতুল সাইক্লোন শেল্টার, দুর্বল জরুরি উদ্ধার ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সচেতনতার ঘাটতির কারণে প্রায় এক লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও উপকূলবাসীর জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে।

বঙ্গোপসাগরে এপ্রিল-মে এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসে সমুদ্রের উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা বাড়ে। এসব ঝড় উপকূলে আঘাত হানলে জলোচ্ছ্বাসের মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষতি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬০ সাল থেকে দেশের উপকূলে ৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। উল্লেখযোগ্য ঝড়গুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৭০ সালের ভোলার ঘূর্ণিঝড় (৫ লাখ প্রাণহানি), ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঝড় (১.৩৮ লাখ প্রাণহানি, ১০ লাখ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত), এবং ২০০৭ সালের সিডর (বেসরকারি হিসেবে প্রায় ১০ হাজার প্রাণহানি, ৬ লাখ বসতবাড়ি ধ্বংস)। এ ছাড়া ‘আইলা’ (২০০৯), ‘আম্ফান’, ‘ফণি’, ‘রিমাল’ ইত্যাদি ঝড়ও উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে।

পটুয়াখালীতে ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ৩৫টি মুজিব কিল্লা থাকলেও এগুলো ঝুঁকিপ্রবণ জনগোষ্ঠীর তুলনায় অপ্রতুল। বিশেষ করে দূরবর্তী চরাঞ্চলে শেল্টার নির্মাণের ঘাটতি রয়েছে। বিদ্যমান শেল্টারগুলোর অধিকাংশের যাতায়াত পথ কাঁচা, যা বর্ষাকালে কর্দমাক্ত হয়ে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে। অনেক শেল্টারে পানি, বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন এবং গবাদি পশু ও গৃহপালিত প্রাণির আশ্রয় ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। ফলে দুর্যোগের সময় মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে নিরুৎসাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৫ হাজার ১০৭ কিলোমিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের মধ্যে ৯৫৭ কিলোমিটার সমুদ্রতীরবর্তী। পটুয়াখালীতে ৩৬টি পোল্ডারের অধীনে ১ হাজার ৮১৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে, যার মধ্যে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় রয়েছে ৫১৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৮ কিলোমিটার অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৪ কিলোমিটার আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ।

কালবেলা
১৬ অ্যাপ তৈরিতে খরচা ১৫৯ কোটি টাকা
কালবেলার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যেসব অ্যাপস বা সফটওয়্যার তৈরি করতে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ হওয়ার কথা, সেগুলোর পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে সর্বোচ্চ প্রায় ২০ কোটি টাকা। সর্বমোট ১৬টি অ্যাপস তৈরি এবং উন্নয়নে খরচ ধরা হয়েছে ১৫৯ কোটি টাকা। সেই টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে পুরোপুরি, বেশিরভাগ অর্থ ছাড়ও হয়ে গেছে। অথচ যেসব অ্যাপ বা সফটওয়্যার তৈরি হওয়ার কথা ছিল, তার অর্ধেকেরও বেশি এখনো অসম্পূর্ণ। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটি চলছে সাত বছর ধরে। বাড়ানো হয়েছে সময় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুবিধা—ফলাফল বলতে আছে খরচের হিসাব আর ফাঁকা প্রতিশ্রুতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ওপেন সোর্স প্রযুক্তির যুগে OCR, বানান বিশ্লেষণ, স্পিচ টু টেক্সট, এমনকি মেশিন ট্রান্সলেশন পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে ফ্রিতে পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগ অ্যাপস উন্নত প্রযুক্তিতেই বাজারে রয়েছে। সেখানে এত বেশি খরচ করে অ্যাপস তৈরি অস্বাভাবিক বিলাসিতা।

বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত অবস্থান আন্তর্জাতিকভাবে শক্তিশালী করা এবং বিভিন্ন টুলস ও রিসোর্স তৈরি করার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এবং মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১৫৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্রকল্পে লক্ষ্য ছিল—কমপক্ষে ১৬টি সফটওয়্যার, টুলস বা ভাষাভিত্তিক প্রযুক্তি তৈরি করা।

কিন্তু প্রকল্পের সাত বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত পুরোপুরি শেষ হয়েছে মাত্র ৭টি কম্পোনেন্ট। আর যে কাজ হয়নি, তা শেষ করার জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। ততদিনে প্রকল্পের আয়ু দাঁড়াবে প্রায় এক দশক। অথচ প্রকল্পের পুরো বরাদ্দকৃত বেশিরভাগ অর্থ এরই মধ্যে ছাড় করা হয়েছে। গত বছরের আগস্টের গণআন্দোলনের পরে তৎকালীন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গ্রেপ্তার হন। কিন্তু পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সময়েও প্রকল্পের ব্যয় সংক্রান্ত কোনো তদন্ত হয়নি। তদুপরি, কাজ চলছে, মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে এবং অর্থছাড় চলছে।

প্রকল্পটির মেয়াদ তিন বছর হলেও একাধিক দফায় সময় বাড়িয়ে তা চলমান রাখা হয়েছে। সর্বশেষ বর্ধিত সময় অনুযায়ী ২০২৬ সালের জুন মাসে এটি শেষ হওয়ার কথা। অর্থাৎ, তিন বছরের প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগছে অন্তত ১০ বছর। এই সময়ের মধ্যে প্রকল্পের ১৬টি নির্ধারিত সফটওয়্যার বা কম্পোনেন্টের মধ্যে এখন পর্যন্ত শেষ হয়েছে মাত্র ৭টি। যদিও প্রকল্পের বাজেট বরাদ্দ ও অর্থছাড়ের হিসাব বলছে, এরই মধ্যে বেশিরভাগ অর্থই ছাড় করা হয়েছে।

কালের কণ্ঠ
সর্বগ্রাসী দুর্নীতির ‘অলরাউন্ডার’
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আ হ ম মুস্তফা কামাল বা লোটাস কামাল ক্রীড়াপ্রেমী। বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস নামের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা কিনেছিল কামাল পরিবার। সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেট অলরাউন্ডারদের পছন্দ করতেন তিনি। নিজের ব্যক্তিজীবনেও লোটাস কামাল অলরাউন্ডার। অবশ্য সেটি দুর্নীতিতে। পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি থেকে আদম ব্যবসা। টেন্ডারের কমিশন থেকে কমিটি বাণিজ্য—দুর্নীতির সব শাখায় অবাধ বিচরণ লোটাস কামালের।

দুর্নীতিই তাঁর ধ্যান, জ্ঞান। যখন যে কাজ করেছেন সেখানেই জড়িয়েছেন দুর্নীতিতে। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট লোটাস কামাল পাঁচবার এমপি ছিলেন কুমিল্লা-১০ আসনের। সামলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

তাঁর হাতেই দেশের অর্থনীতি বলা চলে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে! অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন, ‘খেলাপি ঋণ আর একটাও বাড়তে দেওয়া হবে না।’ কিন্তু তাঁর সময়টা বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে। ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটের প্রধান কুশীলব লোটাস কামাল। এস আলমের হাতে ৯টি ব্যাংক তুলে দিয়ে তিনি অর্থনীতিতে লুটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গঠন, এমডি নিয়োগেও ঘুষ খেতেন সাবেক এই অর্থমন্ত্রী।

নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে সরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছেন। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদানে বাধ্য করেছেন সরকারি ব্যাংকগুলোকে। ঘুষের বিনিময়ে ঋণ প্রদান কার্যক্রমের জনক ছিলেন মুস্তফা কামাল। অতীতে কোনো অর্থমন্ত্রী এভাবে ব্যাংকঋণ প্রদানে অবৈধ প্রভাব খাটাননি। দেশের আর্থিক খাতের অভিভাবক যদি এভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে ব্যাংকিং খাতের যা হওয়ার কথা, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে সেটাই হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে সৃষ্টি হয়েছিল লুটতন্ত্র।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আর পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) মিলেমিশে নিয়ম লঙ্ঘন করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ক্যাডার-ননক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেই এবং ওই কোটায় প্রার্থী উল্লেখ না করলেও বিশেষ বিবেচনায় নিয়োগ পেয়ে চাকরি করছেন। এভাবে ১৭ জনের চাকরির তথ্য পাওয়া গেছে। পিএসসি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিবরাও বলছেন এটি বিধিবহির্ভূত বড় নিয়মের লঙ্ঘন। দুই মাসের অনুসন্ধানে উঠে আসে ২৯ বিসিএস নিয়ে ভয়ংকর তথ্য। ২৯ বিসিএসের ১৭ জনের নিয়োগে বড় অনিয়ম আর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩১ জনকে বিনা কারণে চাকরিতে হয়রানির তথ্য উঠে আসে। ৩১ জনকে হয়রানি ও ভুয়া ক্যাডার প্রমাণ করতে সর্বোচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায় গোপন রেখে নামে-বেনামে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে পিএসসি-জনপ্রশাসনে। হয়রানি করতে দৌড়াচ্ছে দুদকে। অথচ অবৈধ নিয়োগ পাওয়া ১৭ জনের কিছুই হচ্ছে না, কারণ তাঁদের সহযোগিতা করছেন আওয়ামী লীগের সুবিধা নেওয়া ব্যাচমেটরাই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ২৯ বিসিএসে সুপারিশ করে পিএসসি। যার গেজেট প্রকাশ হয় জুলাই মাসে। ভাইভা শেষ হওয়ার পর পিএসসি সুপারিশের ১৪ দিন আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৭ ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতার নামে বিধিবহির্ভূত একটি প্রত্যয়নের চিঠি দেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ক্যাডার ও ননক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে সে সময় পিএসসির সচিবকে জানায়, ‘২৯ বিসিএসে অংশগ্রহণকারী ওই ১৭ জনের পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদ মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

অথচ কোনো পরীক্ষার্থীর অনুকূলে এমন চিঠি ইস্যু করতে পারে না মন্ত্রণালয় এবং পিএসসি সেটি গ্রহণও করতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন মিজানুর রহমান আর পিএসসিতে মো. বাবুল হাসান। রাজনৈতিক বিবেচনায় এরকম কাজ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট অনেকে। নিজ দপ্তরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ইশরাত চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এরকম চিঠির নজির নেই। ২০১১ সালে পিএসসিতে যে চিঠি পাঠানো হয় সেখানে কোনো সূত্র উল্লেখ নেই, মানে স্পষ্টই এটি একটি অনিয়মের জন্য করা হতে পারে। এদের প্রত্যেকের শাস্তি হওয়া দরকার বলে জানান তিনি। বিসিএস পরীক্ষার শুরুতেই তিনি কোনো কোটার প্রার্থী কি না, তা তথ্য ফরমে উল্লেখ করতে হয়। এমনকি ভাইভা বোর্ডে সব সার্টিফিকেট সরবরাহ করতে হয়। সে সময়ে ছাত্রলীগের দেওয়া তালিকা মোতাবেক এই অনিয়ম করা হয়েছে বলে জানায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পিএসসির একাধিক সূত্র।

ফলে চাকরির ভাইভা শেষ হওয়ার পরও তাঁরা কোটায় নিয়োগ পান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে থাকা তালিকার নামগুলো। বিধিবহির্ভূত চিঠি নিয়ে এবং সেই সময় বাবার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট না থাকলেও যাঁরা চাকরি করছেন তালিকা মোতাবেক তাঁরা হলেন রকিবুর রহমান খান রেজি. নং ০৬২০০৩, মো. তোফাজ্জল হোসেন রেজি. নং ০২৫৭২৯ এবং নাহিদা বারিক রেজি. নং ০৭৪১৭০ তিনজন প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত। মো. খোরশেদ আলম রেজি. নং ০০৮৬৭৯ পুলিশ ক্যাডারে কর্মরত। সমবায় ক্যাডারে আছেন মো. কামরুজ্জামান রেজি. নং ০১৭৩৪৬, পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে হালিমা খাতুন রেজি. নং ০৫৪৫৪৯।

যুগান্তর
পিআর পদ্ধতি নিয়ে জটিল সমীকরণ রাজনীতিতে
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর (প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক সমীকরণ জটিল পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে শুধু জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে এ পদ্ধতি চালুর বিষয়ে কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে প্রস্তাবটি নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রকাশ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। বিএনপি ও সমমনা ৬টি দল ও জোট এ পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), এবি পার্টিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালুর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংসদের উচ্চকক্ষ এবং নিম্নকক্ষ দুই জায়গায় পিআর পদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, নির্বাচনের এ পদ্ধতি সংবিধান সংস্কারের সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য না হলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আটকে যেতে পারে।

জানতে চাইলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, প্রাথমিক আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া গেছে। এ কারণে এ বিষয়ে আবারও আলোচনার প্রয়োজন হবে। আরও গভীর আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি অন্যতম একটি মৌলিক বিষয়। এখনই এ বিষয়ে আর কিছু বলা ঠিক হবে না।

দেশে প্রথম ভোট সর্বোচ্চ (ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট) পদ্ধতি চালু রয়েছে। একটি আসনে যে দলের প্রার্থী অন্যদের চেয়ে বেশি ভোট পান সেই দলের প্রার্থী জয়ী হন। একই ভাবে যেই দলের প্রার্থী বেশি আসন পান, সেই দল সরকার গঠন করে। বিগত নির্বাচনগুলোতে এভাবেই ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে। বর্তমানে রাজনীতিতে আলোচিত পিআর বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে আসন পাবে। অর্থাৎ কোনো দল নির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোট পেলে ওই দল জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০টি আসন পাবে। নির্বাচনে এই পদ্ধতি চালুর পক্ষে জোরালো প্রচারণা চালাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন। যদিও বিএনপি এর ঘোর বিরোধিতা করছে। দলটি মনে করছে, এ পদ্ধতি চালুর নামে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি এ পন্থায় আসন বাড়ার পথ তৈরি করতে চায় ছোট দলগুলো।

সমকাল
এবার তোপের মুখে এনবিআর, বিব্রত মধ্যস্থতাকারীরা
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তিন সদস্য ও এক কমিশনারকে অবসর এবং এক কমিশনারকে বরখাস্ত করেছে সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এরই মধ্যে অন্য তিন সদস্য ও আট কমিশনারের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে নেমেছে। এতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় তারা গত ২৯ জুন আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফেরেন। কিন্তু সরকার এখন নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের হয়রানি করছে। সরকারের এই অবস্থানে বিব্রত মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকা ব্যবসায়ী নেতারা।

গতকাল বুধবার এনবিআরের সদস্য কর বিভাগের আলমগীর হোসেন, শুল্কনীতি ও আইসিটি বিভাগের হোসেন আহমদ, মূসক নীতি বিভাগের আবদুর রউফ এবং কমিশনার মো. শব্বির আহমেদকে অবসরে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে শব্বির আহমেদ বরিশাল কর অঞ্চলে কমিশনারের চলতি দায়িত্বে ছিলেন। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে পৃথক চারটি আদেশ জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়, চারজনের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। সরকার জনস্বার্থে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৪৫ ধারায় চারজনকে অবসরে পাঠিয়েছে। তারা বিধি অনুসারে অবসর সুবিধা পাবেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ২৮ ও ২৯ জুন চট্টগ্রামের কাস্টম হাউস বন্ধ রাখায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্তে রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এ জন্য জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সাময়িক বরখাস্তের সময় তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন।

সরকারের অবস্থানের বিষয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ সমকালকে বলেন, লাগাতার শাটডাউনের মাধ্যমে এনবিআরের আন্দোলনকারীরা যেভাবে দেশকে জিম্মি করেছিলেন, তা ছিল নজিরবিহীন। যুদ্ধাবস্থা ছাড়া কখনও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয় না। কিন্তু এবার তা হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিও ছিল অযৌক্তিক। এ অবস্থায় দেশের স্বার্থে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবসায়ীরা সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন। সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, কারও চাকরি যাবে না। কর্মকর্তাদের আমরা এ বার্তা দেওয়ায় আন্দোলন প্রত্যাহারে রাজি হন। কিন্তু এখন সব উল্টো ঘটছে। আমরাও এ অবস্থায় বিব্রত।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর