ছবি : সংগৃহীত
শততম ম্যাচটা সেঞ্চুরি দিয়েই রাঙালেন মুশফিক। সেই সঙ্গে উচ্ছাসে পূর্ণ করে দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের সকাল! মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আয়ার ল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন মুশফিক। মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচটা এর চেয়ে ভালো করে আর কীভাবে উদযাপন করা যেত! ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক আজ হামফ্রিসের করা দিনের প্রথম ওভারটিতে কোনো রান নিতে পারেননি। তবে পরের ওভারে পেসার জর্ডান নিলের করা ওভারের তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে শতরানে পৌঁছান মুশফিক।
বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন মুশফিক। টেস্টে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরির এটি ১২তম ঘটনা। কিংবদন্তি রিকি পন্টিং তাঁর শততম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন।
শততম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করে মুশফিকুর ইনিংসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লিটন দাসের ফিফটি। দুজনে মিলে গড়েছেন ১০৭ রানের জুটি, যা বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সপ্তম শতরানের জুটি হিসেবে ইতিহাসে নথিভুক্ত হলো। লিটনের ফিফটি টেস্টে তার ২০তম।
মুশফিক ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১০৬ রান করে। বাঁহাতি স্পিনার হামফ্রিসের অতিরিক্ত বাউন্সের সঙ্গে টার্নও করা বলটি সামলাতে পারেননি মুশফিক। ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে থাকা ফিল্ডার বলবার্নির হাতে। এক হাতে দারুণ ক্যাচ নিয়ে সাজঘরের পথ দেখান মুশফিককে। আউট হয়েছেন ১০৬ রান করে।
তবে, তার আগেই অনন্য কীর্তি গড়ার জন্য আউট হওয়ার পর আইরিশ খেলোয়াড়রা তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে অভিবাদন জানাতে ভুল করেননি।
এর আগে, মিরপুরে প্রথম দিন শেষ হয় ৪ উইকেটে ২৯২ রানে। অপরাজিত ছিলেন মুশফিক, ৯৯ রানে। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মুশফিক মাত্র এক রানের প্রয়োজনীয়তা পেয়ে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বাঁহাতি স্পিনার হামফ্রিসের একটি বাউন্সি ও টার্ন করা বলের কারণে ইনিংস শেষ হয়, কিন্তু এ মুহূর্তে বাংলাদেশি সমর্থকদের উচ্ছ্বাস সীমাহীন।
এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে মুশফিক বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে খেলেছেন এবং বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন। টেস্টে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরির এটি ১২তম ঘটনা। কিংবদন্তি রিকি পন্টিং তাঁর শততম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন।
মিরপুরের ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে সাদমান ইসলাম ৩৫ ও মাহমুদুল হাসান জয় ৩৪ রান করেন। দলের ৯৫ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর মুমিনুল হক ও মুশফিক ১০৭ রানের জুটি গড়ে দলকে সঙ্গতি এনে দেন। মুমিনুল ৬৩ রান করে ফেরেন।
এমএইচএস

