বিলুপ্তির পথে বিপ্লবী বাঘা যতীনের পৈতৃকভিটা, স্মৃতি রক্ষায় উদ্যোগ নেই
বাংলাদেশের খবর
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:০৬
ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতা বাঘা যতীন। যার খালি হাতে বাঘ হত্যার কাহিনী দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে। কিন্তু যে মাটিতে শৈশব কাটিয়েছেন, যে বাড়িতে বেড়ে উঠেছিলেন এই বিপ্লবী, সেই পৈতৃকভিটা আজ বেদখল আর বিস্মৃতির আঁধারে। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর রিশেখালি গ্রামে তাঁর স্মৃতি আজ বিলুপ্তির পথে।
স্থানীয়রা চাঁদা তুলে একটা ম্যুরাল বসিয়েছিলেন, তাতেও তারিখ ভুল। 'বিপ্লবী বাঘা যতীন একাডেমি' নামে একটি ক্লাব গড়ে উঠেছিল ১৯৮৭ সালে। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সেটিও এখন ধ্বংসস্তূপ। এলাকাবাসীর দাবি, বহুবার স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান কোন কাজ হয়নি।’
বাঘা যতীন শুধু ভারতের নন, উপমহাদেশের বিপ্লবী ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গেও তিনি যুক্ত। তাই সরকারিভাবে তার স্মৃতি সংরক্ষণ, পৈতৃকভিটা উদ্ধার করা জরুরি।
বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের বক্তব্য জানতে বাংলাদেশের খবরের চেষ্টা সফল হয়নি। একাধিকবার ফোন করলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফোন রিসিভ করেননি। জেলা প্রশাসক বাসায় আছেন জানিয়ে ফোনকেটে দেন।
১৮৭৯ সালের ৭ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া এই বিপ্লবী ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মাত্র ৩৫ বছর বয়সে শহিদ হন। তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা যুগান্তর দল, ট্রাম্প কার্ড পরিকল্পনা ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ দশক পরও যে মাটিতে তার দেশপ্রেমের বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল, সেই মাটি এবং ইতিহাস আজও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের অপেক্ষায়।
এসডি/এনএম

