ভারতে ইসরায়েলি নারীকে ধর্ষণের পর আতঙ্ক, হাম্পি ছাড়ছেন বিদেশি পর্যটকরা

বিবিসি
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১৭:৫০

স্টার গেজিং বা রাতের আকাশে তারা দেখার জন্য বেরিয়েছিলেন কয়েকজন মিলে। ভালোই চলছিল সব কিছু। গিটার বাজিয়ে গান গেয়ে রাতের পরিবেশ উপভোগ করছিলেন তারা। হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে আসা তিন আগন্তুকের কারণে পাল্টে যায় সব কিছু্। প্রথমে তর্ক, পরে এক পর্যায়ে হামলা, ইসরায়েলি এক পর্যটকসহ দুই নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় যেমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, একইসঙ্গে আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভারতে বিদেশি ভ্রমণপিপাসুদের নিরাপত্তা।
ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাম্পি শহরের কাছে অবস্থিত সানাপুর লেক এলাকায়। গত কয়েকদিনে বহু বিদেশি পর্যটক ইউনেস্কোর ওই ঐতিহ্যবাহী স্থান ছেড়ে চলে গেছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে।
অনেক বিদেশি পর্যটক বুকিং ক্যান্সেল করেছেন। অনেকে আবার তাদের পূর্ববর্তী ভ্রমণ পরিকল্পনা পরিবর্তন করে অন্যত্র যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে যাদের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে তাদের মধ্যে ছিলেন স্থানীয় হোমস্টে অপারেটর হিসেবে কর্মরত একজন নারী, ইসরায়েলি একজন নারী, এক মার্কিন নাগরিক, মহারাষ্ট্রের একজন বাসিন্দা ও উড়িষ্যার এক যুবক।
কোপ্পালের পুলিশ সুপার রাম আরাসিদ্দি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সানাপুরের কাছে ৬ মার্চ পাঁচজনের ওপর হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে দু'জন বিদেশি পর্যটক।
‘হামলাকারীরা পুরুষদের মারধর করে এবং দুই নারীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যার চেষ্টা, চুরি ও ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মার্কিন যুবক এবং মহারাষ্ট্র থেকে আসা অন্য এক পর্যটক যাদের খালে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ, তারা সুস্থ আছেন। পরে যে পর্যটকের দেহ উদ্ধার হয়, তিনি উড়িষ্যার বাসিন্দা।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, মার্কিন নাগরিকের ওপর এই হামলার ঘটনার বিষয়ে তারা অবগত।
এই ঘটনায় সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কর্ণাটক পুলিশ দুই ব্যক্তিকে আগেই গ্রেফতার করেছিল। পরে, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে আরও এক যুবককে সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় কোপ্পালের পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কর্ণাটকের রাজ্য মহিলা কমিশন।