১৮ বছর বয়সেই যেভাবে আল-আজহারে ইমামতি করলেন অন্ধ যুবক

আব্দুল্লাহ আল-আবরার
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৫
-67d1116308cea.jpg)
বিশ্বখ্যাত ইসলামি বিদ্যাপীঠ মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের জামে আজহারে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই নামাজ পড়ানোর সৌভাগ্য অর্জন করলেন কারি মোহাম্মদ আহমাদ হাসান নামের অন্ধ এক যুবক।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আলজাজিরা মুবাশিরকে তিনি জানান, আল-আজহার মসজিদে সাধারণত প্রবীণ আলেমরা নামাজ পড়ান, কিন্তু তার অসাধারণ প্রতিভার কারণে অল্প বয়সেই তিনি এই সম্মান অর্জন করেছেন।
রমজানের ১০তম রাতে আল-আজহার মসজিদে তারাবির নামাজের ইমামতি করেছেন কারি মোহাম্মদ আহমাদ হাসান। তার অসাধারণ কোরআন তিলাওয়াতের দক্ষতার জন্য আল-আজহারের শায়খগণ তাকে এই সম্মানজনক দায়িত্ব দেন।
মোহাম্মদ আহমেদ হাসান বলেন, আমি মিশরের সোহাগ প্রদেশের তাহতা শহরে জন্মগ্রহণ করেছি। ৩ বছর বয়স থেকে আমি কোরআন হিফজ শুরু করি এবং ৮ বছর বয়সে পুরো কোরআন হিফজ সম্পন্ন করি।
তিনি বলেন, এরপর ১৫ বছর বয়সে কোরআনের ১০টি বিশুদ্ধ তেলাওয়াত পদ্ধতি (কেরাত) আয়ত্ত করেছি। বর্তমানে আমি আল-আজহারের আবু কির ইনস্টিটিউটে অধ্যায়নরত আছি।
মোহাম্মদ বলেন, আল-আজহার মসজিদের মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে ইমামতি করা সত্যিই একটা বিশাল দায়িত্ব। সেখানে যুগে যুগে অনেক বড় বড় ইসলামিক স্কলার ও কারীরা দাঁড়িয়ে ইমামতি করেছেন। তাই শুরুতে আমি খুব ভীত ছিলাম। তবে যারা আমাকে মনোনীত করেছেন, তাদের সাহস ও উৎসাহে আমি ভয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। তারাবির নামাজে আমি ইবনে কাসিরের বর্ণনায় কারী ক্বালুনের তেলাওয়াত পদ্ধতিতে (কেরাত) কোরআন পাঠ করেছি। আল্লাহর রহমতে আমি একইসাথে অথবা আলাদা আলাদা করে কোরআনের ১০টি কেরাতে অনুমোদনপ্রাপ্ত (ইজাজা) ও তেলাওয়াতে সক্ষম।
তিনি আরব ও মুসলিম বিশ্বের তরুণদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের উচিত আমাদের ধর্ম, দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করা। আমাদের দেশগুলোর উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা আমাদের দেশ আমাদের থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার রাখে।
আল-আজহার মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ানোর পর মোহাম্মদ আহমেদ হাসানের তিলাওয়াত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। নেটিজনদের অনেকেই তার প্রশংসা করছেন এবং সাথে সাথে তার কোরআনের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অধ্যবসায়ের প্রশংসা করছেন।
সূত্র : আলজাজিরা মুবাশির