Logo

আন্তর্জাতিক

ভুল নির্বাসন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া

Icon

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৩৫

ভুল নির্বাসন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের দায়িত্ব হলো মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা কিলমার আবরেগো গার্সিয়ার প্রত্যাবর্তনে ‘সহায়তা’ করা, ‘বাস্তবায়ন’ নয়। তাকে ভুলবশত এল সালভাদরে নির্বাসিত করা হয়েছিল। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) হোয়াইট হাউস এ তথ্য জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট গতরাতের রায়ে খুব পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে যে, প্রশাসনের দায়িত্ব হলো প্রত্যাবর্তনে ‘সহায়তা করা, বাস্তবায়ন নয়।’

লেভিটকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি চান এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে যেন কিলমার আবরেগো গার্সিয়াকে কারাগার থেকে সঙ্গে নিয়ে আসেন, যখন তিনি আগামী সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে আসবেন।

উত্তরে লেভিট বলেন, ‘আমি মনে করি, বিচার বিভাগ নিম্ন আদালতে আরেকটি ব্রিফ জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে সর্বশেষ আপডেটের জন্য আমি আপনাদের ওখানেই রেফার করছি।’

লেভিট প্রেস ব্রিফিং দেওয়ার সময়ই মামলার দেখভালকারী ফেডারেল বিচারক বিচার বিভাগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কারণ তারা এল সালভাদরে ভুলবশত নির্বাসিত ব্যক্তির বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ড্রু এনসাইন একাধিকবার বলেন, আবরেগো গার্সিয়ার বর্তমান অবস্থান বা তার প্রত্যাবর্তনের কোনো আপডেট নেই। প্রশাসন এখনো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিশ্লেষণ করছে।

এদিকে, লেভিটের মন্তব্যের একটি ভিডিও শেয়ার করে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের র‍্যাপিড রেসপন্স এক্স অ্যাকাউন্টে কিলমার আবরেগো গার্সিয়াকে ‘নির্বাসিত এমএস-১৩ গ্যাং সদস্য ও মানব পাচারকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে হোয়াইট হাউস এখনো পর্যন্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি যে, গার্সিয়ার কোনো গ্যাং সংশ্লিষ্টতা বা অপরাধমূলক রেকর্ড আছে, যেগুলো সাধারণত প্রকাশ্য তথ্য।

সুপ্রিম কোর্ট একটি ফেডারেল বিচারকের আগের আদেশ বহাল রেখেছেন। যেখানে বলা হয়েছিল, আবরেগো গার্সিয়ার প্রত্যাবর্তনে প্রশাসনকে সহায়তা করতে হবে। গার্সিয়া মেরিল্যান্ডে বসবাস করতেন এবং ২০১৯ সালে একজন অভিবাসন বিচারক তাকে নির্বাসনের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এল সালভাদরে সহিংসতার শিকার হওয়ার আশঙ্কায়।

কেই/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর