-67fce2b2c6c46.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
গাজায় সীমিত আকারে সচল থাকা ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতাল বা আল-আহলি আরব ফিল্ড হাসপাতালটি ইসরায়েলের হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৩ এপ্রিল) ভয়াবহ হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে হাসপাতালটি। প্রায় ১০ লাখ মানুষের জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছিল হাসপাতালটি।
গাজা উপত্যকার গুরুত্বপূর্ণ একটি করিডোর দখলের পরদিনই এই হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে জরুরি চিকিৎসাসেবা ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উপত্যকাটির ফিল্ড হাসপাতালের পরিচালক মারওয়ান আল-হামস।
তিনি বলেন, গত ৪০ দিন ধরে গাজায় কোনো ঔষধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম কিংবা জ্বালানি প্রবেশ করছে না। বেশিরভাগ হাসপাতালের অক্সিজেন স্টেশন ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে বেশ কিছু রোগীর জীবন দ্রুতই ঝুঁকিতে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, গাজার অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও সরঞ্জামের সংকট রয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না। স্বাস্থ্যসেবা ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মারওয়ান আল-হামস। ‘বিশ্বের হস্তক্ষেপ ছাড়া গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে’ বলেও সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ: সেনাদের বরখাস্তের ঘোষণা ইসরায়েলের
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর যু্দ্ধ শুরু থেকে ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে অনেক ফিলিস্তিনিই হাসপাতালগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গাজার সেসব হাসপাতালের বেশির ভাগই ইসরায়েল ধ্বংস করে দিয়েছে।
ত্রাণ সংস্থা ও জাতিসংঘ সতর্ক দিয়েছে যে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ওষুধ ও সংশ্লিষ্ট সরবরাহ দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স রেসকিউ টিম জানিয়েছে, হামলায় হাসপাতালের অপারেশনের ভবন, অক্সিজেন স্টেশন ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
রবিবারের হামলায় ব্যাপিস্ট হাসপাতাল ভবনের লোহার দরজা ভেঙ্গে পড়েছে এবং একটি বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। ইরাকের একটি টেলিভিশন জানিয়েছে যে, তাদের একটি ভ্যানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে চালানো ইসরায়েলি হামলায় ১ হাজার ৫৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৫০ হাজার ৯৪৪ জন।
দুইমাসের যুদ্ধবিরতির ফলে গাজায় হামলা বন্ধ করেছিল ইসরায়েল। কিন্তু মার্চের মাঝামাঝি সময়ে আবারও তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর কয়েকদিন পর হামাস ইসরায়েলে আবারও রকেট হামলা চালায়।