
ছবি : রয়টার্স
দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মূল্যবান খনিজ সম্পদের ওপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক চুক্তিতে সই করেছে ইউক্রেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই দেশের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিটির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের মূল্যবান খনিজ সম্পদ প্রকল্পে অগ্রাধিকার পাবে। পাশাপাশি দেশটির পুনর্গঠনে একটি যৌথ বিনিয়োগ তহবিল গঠিত হবে।
চুক্তিতে সামরিক বা নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি না থাকলেও এতে সামরিক সহায়তা পরোক্ষভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেঙ্কো এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া বার্তায় জানিয়েছেন, এই চুক্তি উভয় দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে সম্প্রসারিত করবে। যুক্তরাষ্ট্র শুধু অর্থই নয়, প্রয়োজন হলে ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহও করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী দেনিস শমিহাল বলেন, এটি একটি ভালো, সমান ও লাভজনক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তি।
চুক্তির বিষয়ে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এই চুক্তি পূর্বের সহায়তার ওপর কোনো দেনার বোঝা তৈরি করছে না। উভয় দেশ ৫০/৫০ হারে তহবিলে অবদান রাখবে।
এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, চুক্তির খসড়া অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র বা তার মনোনীত প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন লাইসেন্স ও খনিজ প্রকল্পে অগ্রাধিকার পাবে। তবে পূর্ববর্তী চুক্তিগুলো এই নতুন ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হবে না।
চুক্তির প্রাথমিক খসড়ায় ইউক্রেনের গ্যাস অবকাঠামো যুক্ত করার প্রস্তাব থাকলেও চূড়ান্ত চুক্তিতে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপীয় মিত্রদের উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়েই এ সিদ্ধান্ত।
চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি আগেই নির্ধারিত থাকলেও হোয়াইট হাউজে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে কথার সংঘর্ষে তা পিছিয়ে যায়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধে যেমন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পাশে ছিল, এবার দেশটির অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে কৌশলগত অংশীদার হতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। তবে চুক্তির শর্তগুলো কতটা কার্যকর হয় এবং কে কতটা লাভবান হয়—তা নির্ভর করবে বাস্তবায়নের রূপরেখার ওপর।
- এটিআর